শাস্তি নির্ধারনে আবার এক সদস্যের কমিটি!

রেফারী সমিতিতে জুয়া কাণ্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ২৫ জুন, ২০২১ at ৭:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল রেফারী এসোসিয়েশনে জুয়া কান্ডের পর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। সিজেকেএস সহ সভাপতি হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের সে তদন্ত কমিটি এরই মধ্যে তাদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। গত বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহি কমিটির সভা। সে সভায় আলোচ্য সূচিতে ছিল রেফারী সমিতির জুয়া কান্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। তবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সে সভায় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়নি। আরেকটি এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিজেকেএস সহ সভাপতি এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রেফারী সমিতি এবং রেফারী সমিতির সাধারন সম্পাদক আবদুল হান্নান মিরনের বিরূদ্ধে কি শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। আর সে শাস্তির আইনী প্রয়োগ কি হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী জানান, আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কোন কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজপত্র হাতে পেলে তা দেখে তিনি তার মতামত দেবেন। আর সে আলোকে এই জুয়া কান্ডের সাথে জড়িতদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যদি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় তাহলে আবার এক সদস্য বিশিষ্ট কমিটি কেন? এডভোকেট শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী জানান, তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইনী কোন বিষয় থাকলে তা খতিয়ে দেখার জন্য। তিনি বলেন যে দোষ করেছে রেফারী সমিতি এবং তার কর্মকর্তারা তার শাস্তি তাদের পেতেই হবে। সে ক্ষেত্রে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অবশ্যই মূল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন শাস্তির ব্যাপারে কোন ধরনের শৈতিল্য দেখানোর কোন সুযোগ নেই। শাস্তি কঠোর হতে হবে। তবে শাস্তিটা যাতে একেবারে দৃষ্টান্ত মুলক হয় সে দিকেই যাচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।
গত বুধবার রাতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহি কমিটির সভায় আর সে সব বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের প্রায় সবগুলো ছিল স্থাপনা নির্মান সংক্রান্ত। যেখানে ছিল স্টেডিয়াম শপিং কমপ্লেঙের মাঝখানের জায়গাটাতে বহুতল ভবন নির্মান করা। তবে সেটির দায়িত্ব সংস্থার সভাপতি এবং জেলা প্রশাসক নিজে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন আগের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি কথা বলবেন এবং সকল আইনী প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখে কি করা যায় সেদিকে এগুবেন। এছাড়া এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের সামনের অনুশীলন মাঠের একপাশে মিনি জিমনেসিয়াম তৈরির যে প্রস্তাব আনা হয়েছিল সভায় সেটারও সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে কিছু করার পরিবর্তে আউটার স্টেডিয়ামটাকে কিভাবে সংস্কার করা যায় সে বিষয়ে মতামত প্রকাশ করেন নির্বাহি কমিটির সদস্যরা। কারণ আউটার স্টেডিয়ামটি একেবারে নিয়ন্ত্রনহীন অবস্থায় রয়েছে। সেটাকে আগে নিয়ন্ত্রনে নেওয়া উচিত বলে মত দেন সংস্থার নির্বাহি কমিটির সদস্যরা। এছাড়া স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের গ্যালারীতে ডরমেটরী নির্মানের যে প্রস্তাব এসেছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখতে যে প্রতিষ্ঠানটি সব চাইতে কমে দরপত্র প্রদান করেছে তাদেরকে দিয়ে সবকিছু তদারক করে একটি রিপোর্ট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে ডরমেটরি নির্মানের পথে হয়তো হাটবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবড় পরিসরে ক্রীড়াঙ্গনে আসতে চায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র
পরবর্তী নিবন্ধযেভাবে ফোনের ব্যাটারি ভালো রাখবেন