শহরটাকে সবাই নিজের মনে করুক

প্রথমেই হাত দেবেন পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ।। স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় গুরুত্ব, সমন্বয়ে চান চসিকের কর্তৃত্ব ।। আজাদীকে মেয়র রেজাউল

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৮:৪৩ পূর্বাহ্ণ

শহরটাকে সবাই নিজের মনে করুক। শহরের প্রতি নগরবাসীর দরদ সৃষ্টি হোক। এটাই চান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) নবনির্বাচিত মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। দায়িত্ব নিয়েই তিনি সচেতনতামূলক কাজ শুরু করবেন। তিনি মনে করেন, শহরকে এগিয়ে নিতে হবে সম্মিলিতভাবে। তাই প্রতিটি নাগরিকের মধ্যে ‘শহরটা আমার’ এ বোধ থাকতে হবে। নগরবাসীকে ভাবতে হবে শহরের উন্নয়ন মানে নিজের উন্নয়ন। ক্ষতি মানে নিজের ক্ষতি। শহরকে এগিয়ে নিতে কেবল মেয়র ভাববেন না, নাগরিকও ভাববেন।
গত বুধবার দৈনিক আজাদীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ভাবনাগুলো তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এরপর নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ শুরু করবেন। এ তালিকায় থাকবে পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন, সড়ক সংস্কার এবং সড়কবাতি নিশ্চিতকরণ।
এরপর ধাপে ধাপে নগরের উন্নয়ন এবং জনদুর্ভোগ লাঘবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবেন। চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি শিক্ষা বিভাগের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনবেন। এছাড়া সহনীয় পৌরকর নির্ধারণ ও নগর ভবন নির্মাণে নিজের পরিকল্পনার কথা জানান। সাবেক মেয়রের আমলে করা আলোচিত সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বহাল রাখারও ইঙ্গিত দেন তিনি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে নগরবাসী ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ এবং শহরের অন্য সেবাসংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবেন বলে জানান।
আজাদী : দায়িত্ব গ্রহণের পর কোন কাজগুলো অগ্রাধিকার পাবে?
রেজাউল করিম চৌধুরী : নগরবাসীর দৈনন্দিন জীবনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রথমে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মশক নিধন, রাস্তাঘাটের সংস্কার এবং সড়কবাতি উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘমেয়াদী কিছু কাজ আছে, যেমন জলাবদ্ধতা দূরীকরণ। এ ধরনের বিষয়গুলো নিয়ে আস্তে আস্তে সবার পরামর্শ নিয়ে কাজ করব।
তিনি বলেন, প্রথমেই হাত দেব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। পরিচ্ছন্ন বিভাগকে গতিশীল করে পরিচ্ছন্ন শহর নিশ্চিতে চেষ্টা করব। শহরে মশার উপদ্রব খুব বেড়ে গেছে। নালা-নর্দমা পরিষ্কার না করে শুধু ওষুধ ছিটালে মশার বংশ বিস্তার বন্ধ হবে না। তাই সেদিকে সমান নজর থাকবে।
সড়ক সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব সড়ক এখনো খানাখন্দে ভরা সেগুলো সংস্কার করে যান চলাচলের উপযোগী করে তুলব। দায়িত্ব নেয়ার সাথে সাথে তো একেবারে নতুন করে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হবে না। তাই যেসব রাস্তায় গর্ত হয়ে গেছে, যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে সেগুলো দ্রুত সংস্কার করে দেব, যাতে নগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘব হয় এবং যান চলাচলে সুবিধা হয়। পাশাপাশি সড়কগুলো কীভাবে আরো টেকসই করা যায় সেজন্য প্রকল্প গ্রহণ করব।
আজাদী : অতিরিক্ত গৃহকর নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল। আন্দোলনও হয়েছে। সহনীয় গৃহকর ধার্য নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
রেজাউল : অসহনীয় পর্যায়ের কোনো হোল্ডিং ট্যাক্স জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি না আমি। কারণ অসহনীয় কোনো ট্যাক্স দিতে জনগণ উৎসাহিত হন না। আসলে নগরবাসীকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ভালো সার্ভিস দিতে হবে। সার্ভিস পেলে তখন পৌরকরের বিষয়ে বললে তারা পরিশোধে আগ্রহী হবেন। তাই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি সহনীয় পৌরকর নির্ধারণের পরিকল্পনা আছে আমার। এক্ষেত্রে সবাইকে নিয়ে পরামর্শ করে জনগণের ওপর চাপ না হয় মতো পৌরকর ধার্য করব।
আজাদী : নগর উন্নয়নে সিটি কর্পোরেশনের সামনে বড় বাধা সেবা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় না হওয়া। অতীতে দায়িত্ব পালনকালে মেয়রগণও বারবার এ সমস্যার কথা বলেছেন। সমন্বয় নিশ্চিত করে সিটি কর্পোরেশনকে কীভাবে এগিয়ে নেবেন?
রেজাউল : ঠিক বলেছেন। সমন্বয়ের অভাবে শহরকে এগিয়ে নিতে যেভাবে চিন্তা করি সেভাবে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হয় না। এটাই বাস্তবতা। যেমন আজকে সিটি কর্পোরেশন একটি রাস্তা করে গেল, কাল ওয়াসা সেটা কেটে ফেলেছে। কারো সঙ্গে কোনো সমন্বয় নাই। তাই সমন্বয় নিশ্চিত করা জরুরি। সমন্বয় না করলে শহরের পরিকল্পিত ও টেকসই উন্নয়ন হবে না।
তিনি বলেন, যখন সমন্বয় সভা আহ্বান করা হয় তখন বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধানদের সেখানে উপস্থিত থাকা উচিত। কারণ প্রধানরা দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু সেটা না করে প্রধানরা এমন একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করেন যিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। ফলে সমন্বয় সভার সুফল মিলে না। দায়িত্ব গ্রহণের পর সমন্বয়ের ক্ষেত্রে ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করব এবং ঘাটতি পূরণ করে সমন্বয় নিশ্চিতে কাজ করব।
তিনি বলেন, সমন্বয় সভা আহ্বান করব। সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে, সমন্বয়ে মেয়রের কর্তৃত্ব থাকতে হবে। সেবা সংস্থার প্রধানকে সভায় উপস্থিত থাকতে হবে এবং জবাবদিহিতাও থাকতে হবে। কারণ, শহরটা তো আর এককভাবে সিটি কর্পোরেশনের না। যদিও দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের ওপর এসে পড়ে। যেমন কোথাও ওয়াসা গর্ত খুঁড়ল, জনগণ গালি দেয় সিটি কর্পোরেশনকে। তাই সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃত্বটা খুব প্রয়োজন।
আজাদী : আধুনিক নগর ভবন নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। মহিউদ্দীন চৌধুরী, মনজুর আলম ও আ জ ম নাছির উদ্দীনও চেষ্টা করেছিলেন। সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে কী পরিকল্পনা আছে?
রেজাউল : চট্টগ্রামে অবশ্যই নগর ভবন থাকা উচিত। ঢাকার পরই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। সেখানে নগর ভবন থাকবে না, সেটা হয়? অন্য জায়গায় বসে সিটি কর্পোরেশন পরিচালনা করব, সেটা তো হতে পারে না।
তিনি বলেন, আন্দরকিল্লায় যে নগর ভবন আছে সেটা ভেঙে ফেলা হবে। তার পাশে খালি জায়গায় পাইলিং হয়ে গেছে। নগর ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নেব। ইনশাল্লাহ, আমার মেয়াদকালেই নগর ভবন করব।
আজাদী : সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের মেয়াদকালে শহরে অনেকগুলো সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হয়েছে। প্রশাসক থাকাকালীন খোরশেদ আলম সুজন অনেকগুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নতুন মেয়রের মেয়াদকালে প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা আছে ঠিকাদারদের মধ্যে। সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে?
রেজাউল : যেকোনো স্থায়ী উন্নয়ন কিন্তু একক সিদ্ধান্তে হয় না। স্থায়ী উন্নয়নের জন্য সমষ্টিগত চিন্তা-ভাবনা প্রয়োজন। আমাদের শহরে অনেক জ্ঞানী-গুণী লোক, পরিকল্পনাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন পেশার লোক আছেন। প্রত্যেককে আল্লাহ পাক মেধা, বুদ্ধি দিয়েছেন। প্রত্যেকের তো কিছু পরামর্শ দেয়ার ক্ষমতা আছে। সবাইকে নিয়ে সৌন্দর্যবর্ধনে যেসব প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে এবং যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা আছে সেগুলো কেন নষ্ট করতে যাব? সেগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করব। যেগুলো জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে, জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে সেগুলোর বিষয়ে সবার সাথে পরামর্শ করব। বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
আজাদী : সিটি কর্পোরেশনের দৈনন্দিন নির্ধারিত কাজের বাইরে শহরের স্বার্থে কোনো কাজ করার পরিকল্পনা আছে?
রেজাউল : অনেক পরিকল্পনা আছে। কর্পোরেশনের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। আর্থিক সীমাবদ্ধতা অন্যতম। শহরে অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি আছেন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, যারা উন্নয়নে কোনো না কোনোভাবে যুক্ত হতে চায়। তাদের সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা থাকবে। যদি নগর উন্নয়নে তাদের উৎসাহিত করতে পারি তাহলে সুবিধা হবে। আমাদের অনেক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নেই। এতে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এ ধরনের আরো অনেক বিষয় আছে, যেগুলো খুব দরকার। এসব কাজে সিটি কর্পোরেশনের বাইরে সম্পদশালী, উৎসাহী লোকগুলো যদি এগিয়ে আসে তাদের কাজে লাগাব।
আজাদী : একসময় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের সুনাম ছিল। এখন সেই গৌরব নেই। স্বাস্থ্য বিভাগকে কীভাবে নাগরিকবান্ধব করা যায়?
রেজাউল : কোভিডের সময় স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তো বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম। ওই সময় আমি নিজেও বেশ কাজ করেছিলাম। সেখান থেকে অনুধাবন করেছি সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগকে আরো সমৃদ্ধ করা উচিত। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে যদি একটা করে স্বাস্থকেন্দ্র থাকত, তাহলে যে ভোগাান্তি মানুষের হয়েছে সেটা কিছুটা হলেও কম হতো। তাই প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে একটা করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তুলতে কাজ করব। হয়তো আমার মেয়াদে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকেন্দ্র করতে পারব না। কিন্তু আমি সূচনা করব, যাতে সাধারণ মানুষ বিনা পয়সায় তাদের চিকিৎসাসেবা পায়।
আজাদী : সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগ ঘিরে কোনো কর্মপরিকল্পনা আছে?
রেজাউল : সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে তার অনেকগুলো কিন্তু বোঝা হয়ে গেছে। যার কারণে প্রতি বছর কর্পোরেশনকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে কী করা যায় সেজন্য শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষা নিয়ে যারা ভাবেন তাদের পরামর্শ নেব। কীভাবে শিক্ষা বিভাগে শৃক্সখলা ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। যা-ই করি না কেন, কোয়ানটিটি নয়, কোয়ালিটির দিকেই জোর দেব। মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে সিটি কর্পোরেশনের স্কুলগুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য তদবির আসত। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের অনেক স্কুল ছাত্রছাত্রী পাচ্ছে না। সেখানে তদারকির অভাব এবং বিভিন্ন কারণে-অকারণে এমন হয়েছে। আমার চেষ্টা থাকবে ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার।
আজাদী : নগরবাসীর উদ্দেশে কোনো বার্তা আছে?
রেজাউল : একটাই বার্তা। তারা যেন ভাবে, শহরটা শুধু মেয়রের নয়। তাদেরও। হ্যাঁ এটা ঠিক, উনারা (নগরবাসী) আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছেন এবং আমি উনাদের প্রতিনিধি। তাই আমার ওপর অনেক দায়িত্বও থাকবে। তারপরও প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, জনগণের মনে এ বার্তা দিতে চেষ্টা করব, শহরটা আমার। কাজেই নগরের সৌন্দর্যহানি মানে নিজের সৌন্দর্যহানি। শহরের ড্রেন ভরাট করা মানে আমার ড্রেনটাই ভরাট করলাম। ড্রেনে যে পলিথিন ফেলছি সেজন্য আমি দায়ী। অর্থাৎ আত্ম উপলব্ধিটা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করব। নাগরিকের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারলে শহরটা অনেক এগিয়ে যাবে। এজন্য আমার চেষ্টা থাকবে। প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের মাধ্যমে মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য কাজ করব। মানুষের কাছ থেকে পরামর্শ নেব। এতে তারা উৎসাহী হবেন। এর মাধ্যমে নগরের প্রতি তাদের দরদ বাড়বে বলে মনে করি।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন রেজাউল করিম চৌধুরী। গত বৃহস্পতিবার শপথ নেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল ১৪৪ ধারা ভাঙা হবে
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত