শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড ফিলিপাইন

| সোমবার , ২ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

ঘণ্টায় ২২৫ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে ফিলিপিন্সে আঘাত হেনেছে বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন গনি। রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে গনি ফিলিপিন্সের মূল দ্বীপ লুজনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্যাতানদুয়ানেস দ্বীপ দিয়ে সাগর থেকে স্থলে উঠে আসে। এরপর ফের সাগর হয়ে টাইফুনটি ‘ধ্বংসাত্মক’ প্রবল বাতাস ও তীব্র বৃষ্টিসহ দ্বিতীয়বার স্থলে উঠে আসে বলে ফিলিপাইনের আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে। গনি এখন লুজন দ্বীপের ভিতর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই দ্বীপেই ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার অবস্থান। টাইফুনটির পথ বরাবর ঘরবাড়িগুলোর প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
ফিলিপিন্সের আবহাওয়া ব্যুরো বলছে, বিকোল অঞ্চলের প্রদেশগুলোর ওপর দিয়ে ‘ধ্বংসাত্মক প্রবল ঝড়ো বাতাস ও প্রবল থেকে তীব্র বৃষ্টিপাত’ হতে পারে। ম্যানিলার দক্ষিণে কেজন, লাগুনা ও বাতাঙ্গাসের কিছু অংশেও এর প্রভাব পড়তে পারে। রাজধানী ম্যানিলাও গনির সম্ভাব্য গমনপথে পড়েছে। খবর বিডিনিউজের।

চলতি বছর ফিলিপিন্সে আঘাত হানা ১৮তম ক্রান্তীয় ঝড় গনি এগিয়ে যাওয়ার পথে ফের সাগরে নেমে রোববারই তৃতীয়বারের মতো কেজন প্রদেশ দিয়ে স্থলে উঠে আসবে বলে জানিয়েছেন দেশটির এক আবহাওয়া কর্মকর্তা। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, টাইফুনটির প্রভাবে বিপজ্জনক জোনের মধ্যে পড়া এলাকাগুলো বাসিন্দারাসহ এক কোটি ৯০ লাখ থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বহু আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ম্যানিলার নিনয় অ্যাকিনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এক দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গনি, হাইয়ানের পর ফিলিপিন্সে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। ২০১৩ সালে হাইয়ানের তাণ্ডবে দেশটিতে ছয় হাজার ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গত মাসে ফিলিপিন্সে আঘাত হানা টাইফুন মোলাভের কারণে ম্যানিলার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ২২ জন নিহত হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইংল্যান্ডে ফের লকডাউন
পরবর্তী নিবন্ধ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে মোস্তফা হাকিম ফাউন্ডেশন কাজ করছে’