লোকালয়ে বন্যহাতির তাণ্ডব, রাঙ্গুনিয়ার পাহাড়ি এলাকায় আতঙ্ক

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৮ জুলাই, ২০২৩ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় তাণ্ডব শুরু করেছে বন্য হাতির পাল। সর্বশেষ গত রোববার রাতে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে বন্য হাতির পাল হানা দিয়েছে। এ নিয়ে পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সুখবিলাম গ্রামের কৃষক রাশেদ তালুকদার প্রায় ৫০ একর জমির ধান সোমবারিয়া বাজারের দক্ষিণে শিলক খালের পাড় সংলগ্ন নিজস্ব গুদামে মজুদ রাখেন। সেখানে তার গরু ও হাসমুরগীর খামারও রয়েছে। রোববার রাত ১২টার দিকে প্রায় ১০১২টি হাতির পাল সেখানে হানা দেয়। কয়েক ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে হাতিগুলো গুদামের গ্রিল ভেঙে বস্তাভর্তি প্রায় ৪০০০ কেজি ধান নষ্ট করে ফেলে। এছাড়া খামারের নারকেল গাছ, মুরগি ও হাসের ঘরেও ভাংচুর চালিয়েছে। এতে বেশ কিছু হাসমুরগিও মারা যায়। হাতির দল একটি মাহিন্দ্রা ট্রাকও ভাংচুর করেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রাশেদ তালুকদার জানান। স্থানীয়রা আরও জানান, পদুয়ায় তাণ্ডব চালানো ওই বন্যহাতির পালটি বর্তমানে পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে অবস্থান করছে। যেকোনো সময় গ্রামসহ আশপাশের বাড়িগুলোতে তাণ্ডব চালাতে পারে। দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত গ্রামবাসীরা জানায়, প্রতিবছর ধান পাকার মৌসুমে লোকালয়ে হানা দিতো বন্য হাতির পাল। কিন্তু ইদানীং প্রায় সারাবছরই লোকালয়ে চলে আসছে বন্য হাতির দল। সমপ্রতি সরফভাটা, কোদালা চা বাগান এলাকা, পদুয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে বন্য হাতির পাল হানা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। লোকালয়ে হাতির পালের এমন তাণ্ডবে প্রতিবছর কৃষক ও পথচারীদের প্রাণহানিসহ ফসল ও সম্পদের নানা ক্ষতি হয় রাঙ্গুনিয়ায়। এতে হাতির প্রতি মানুষের আক্রমণাত্মক মানসিকতার সৃষ্টি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের খুরুশিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির আক্রমণ থেকে জান মাল বাঁচাতে এবং হাতিমানুষের দ্বন্ধ কমাতে আমাদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পদুয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রাশেদ তালুকদারের খামারে রাতেই আমরা পরিদর্শন করেছি। সে যেনো ক্ষতিপূরণ পায় সেই ব্যাপারে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণকে হাতির আক্রমণ ঠেকাতে বন্যহাতির দলকে উত্ত্যক্ত না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃষ্টির পানি আর কাঁচা মাছ খেয়ে ২ মাস সমুদ্রে
পরবর্তী নিবন্ধদেশে প্রথমবারের মতো উটপাখির ডিম থেকে বাচ্চা ফোটালেন গবেষকরা