লকডাউনে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন দুধের গরু খামারি

| শনিবার , ১০ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৫৪ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারির অবস্থা দিন দিন অবনতির কারণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে এবং তা কার্যকর আছে। লকডাউনের কারণে সারাদেশে মুদি দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া আর সকল প্রকারের দোকান বন্ধ। গণপরিবহনের সাথে সাথে ভারি যানবাহন চলাচলও বন্ধ। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে দুধের গরুর খামারিরা। মিষ্টি জাতীয় পণ্যের উৎপাদন ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দুধ যোগান থেকে যাচ্ছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়ন সারা চট্টগ্রামে দুধ উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। লকডাউনের কবলে পড়ে শিকলবাহা ইউনিয়নবাসীর প্রতিদিন টনকে টন দুধ বিক্রি না হওয়ার কারণে নদীতে ঢালতে হচ্ছে। এদিকে গরুর খাদ্য দ্রব্যাদির বাজার দাম অনেক চড়া তো বটেই তার মধ্যে দিন দিন দাম বেড়েই চলেছে। যার কারণে প্রতিদিন অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে আছে কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের দুধের গরু খামারিরা। দুধ বিক্রি করতে না পেরে গরুর খামারিরা মারাত্মকভাবে আর্থিক সংকটে পড়ছে। বিগত বছরের লকডাউনেও গরুর খামারিদের অবস্থা করুণ হয়ে পড়েছিলো, মারাত্মক আর্থিক সংকটে পড়েছিলো। এবারে লকডাউনে হইতো অনেক খামারিকেই পথে বসতে হবে। তাই সরকার এই বিষয়টি বিবেচনা রেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া অতিব জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় দুধের গরু খামারিরা সর্বহারা হবে। এবং দুধ উৎপাদনে ভবিষ্যতে নিরুৎসাহিত হবে। দুধের এ রকম পরিস্থিতি শুধু খামারিদের জন্য ক্ষতিকর নই সাথে সাথে জাতীয় পর্যায়েও অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। তাই সরকারের এই বিষয়টি বিশেষ নজরে রাখতে হবে।
– সাজ্জাদ হোসেন রায়হান, শিক্ষার্থী, অর্থনীথি বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিনোদ বিহারী চৌধুরী : বিবেকের কণ্ঠস্বর
পরবর্তী নিবন্ধদোষারোপ নয়, বাড়ুক সচেতনতা