রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঘর ও স্কুলসহ ৪৬০ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত

উখিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০২৩ at ৬:৪১ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতে কঙবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আশংকা অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতি তেমন ঘটেনি। কয়েকশ’ রোহিঙ্গা পরিবার কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। ক্যাম্পে নিয়োজিত জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ দেশিবিদেশি এনজিওগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের নানাভাবে সহায়তা প্রদান করছে।

গত রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বৃষ্টির সঙ্গে ছিল তীব্র বাতাস ও ঝড়ো হওয়া। তবে কোনো ধরনের হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে ২৭৮টি শেল্টার, ৩২টি লার্নিং সেন্টার, একটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, ২৯টি মসজিদ/মক্তব ও ১২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২ হাজার ৫৪৮টি শেল্টার আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আগে ৫ হাজার ৩৮৬ জন রোহিঙ্গাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘরগুলো কিছুটা ক্ষতি হলেও সেগুলো চাপা পড়ে প্রাণহানির সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিল না। পাঁচ বছর আগে নির্মিত অধিকাংশ ঘর এমনিতেই জরাজীর্ণ। বাতাসের তোড়ে বেশ কিছু ঘর, মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল ও অনান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে কোনোটি আংশিক, কোনোটি সম্পূর্ণ। দুএকটি জায়গায় গাছ পড়েছে। দুএকটি জায়গায় পাহাড়ি টিলার মাটি সরে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো মেরামতে সাইড ম্যানেজমেন্ট টিম ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এগুলো এমনিতে অস্থায়ী শেল্টার এবং এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে শরণার্থী কমিশনার জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআইএমএফের শর্তে দেশে বৈষম্য আরও বাড়বে : দেবপ্রিয়
পরবর্তী নিবন্ধমাটিরাঙ্গায় ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ৩ মাদ্রাসা ছাত্র