রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন : ই-মেইল বর্তনকারী

| শনিবার , ৫ মার্চ, ২০২২ at ৮:১০ পূর্বাহ্ণ

রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন। বিখ্যাত মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও বিশ্বের প্রথম ই-মেইল প্রবর্তনকারী। ১৯৭১ সালে ইন্টারনেটের সূচনাকারী আরপানেটে রে টমলিনসন প্রথম ই-মেইল পাঠান। তিনি ১৯৪১ সালের ২৩ এপ্রিল নিউইয়র্কের আমস্টারডাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন। রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে তড়িৎ কৌশলে বিএসসি ডিগ্রি পান ১৯৬৩ সালে। পড়ার সময় আইবিএমের কো-অপ প্রোগ্রামে অংশ নেন। স্নাতক হওয়ার পর তড়িৎ কৌশলে পড়ালেখা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে চলে যান। সেখানে স্পীচ কমিউনিকেশন গ্রুপের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মাস্টার্সের অভিসন্দর্ভের জন্য তিনি একটি এনালগ-ডিজিটাল হাইব্রিড স্পীচ সিনথেসাইজার ডেভেলপ করেন। ১৯৬৭ সালে বোল্ট, বারানেক ও নিউম্যান নামে (বর্তমানে বিবিএন টেকনোলজিস) একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। তিনিই প্রথম কম্পিউটার এবং এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝানোর জন্য ব্যবহারকারীর নামের সামনে @ চিহ্নটি ব্যবহার শুরু করেন। তারপর থেকে ই-মেইলে এই চিহ্নটি ব্যবহার হয়ে আসছে। এর আগে একই কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের মধ্যে মেইল আদান-প্রদান করা যেত। কিন্তু টমলিনসনের পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো আরপানেটে যুক্ত বিভিন্ন হোস্টের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান সম্ভব হয়। ইন্টারনেট হল অব ফেমে রে টমলিনসনের কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘টমলিনসনের ই-মেইল প্রোগ্রাম মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে একটি নতুন বিপ্লবের সূচনা করে’। ২০০০ সালে তিনি জর্জ আর স্টিবিৎজ কম্পিউটার পাওনিয়ার পুরস্কার পান। আমেরিকার কম্পিউটার জাদুঘর মনটানা স্টেট ইউনিভার্সিটর কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার প্রদন করে থাকে। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ডিজিটার আর্টস ও সায়েন্স একাডেমি তাকে আজীবন সম্মাননা হিসাবে ওয়েবি পুরস্কারে ভূষিত করে। একই বছর তিনি তার ইনস্টিটিউটের হল অব ফেমে জায়গা করে নেন। ২০১৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের যানজট নিরসন চাই