রেজিস্ট্রি অফিসের চতুর্দিকের স্থাপনার অনুমোদন নেই

আইনজীবীদের ভবন অনুমোদিত কোর্টহিল নিয়ে সিডিএর প্রতিবেদন

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ

কোর্ট হিলে থাকা আইনজীবীদের ভবন বা স্থাপনাগুলো অনুমোদিত। তবে কোর্ট হিলের বিভিন্ন অংশে বিশেষ করে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের চতুর্দিকে এবং জহুর হকার মার্কেটের দক্ষিণাংশে সেমিপাকা যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো করার আগে কোনোরকম অনুমোদন নেয়া হয়নি। ওইসব স্থাপনায় বৈদ্যুতিক সংযোগ এবং কয়েকটিতে গ্যাস ও পানির সংযোগও রয়েছে। অনুমোদনহীন স্থাপনার তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসনের চিঠির জবাবে সিডিএ যে প্রতিবেদন দেয় তাতে উঠে এসেছে এসব তথ্য। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- সেমিপাকা স্থাপনাগুলো জেলা প্রশাসন থেকে ভাড়া বা লিজ গ্রহণ করে তারা বর্তমানে দখলে আছেন এবং নিয়মিত জেলা প্রশাসন বরাবর ভাড়া পরিশোধ করেন। মৌখিক আলাপে স্থাপনাসমূহে বসবাসরতরা এসব জানিয়েছেন। তবে এ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে পাকা ভবনের মধ্যে রয়েছে আদালত ভবন, জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় কমিশন ও আইনজীবীদের ভবনগুলো। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, কোর্ট হিলটি মূলত সরকারের খতিয়ানভুক্ত হওয়ায় তথা জেলা প্রশাসনের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকায় ইতোপূর্বে এক্ষেত্রে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের চিঠির জবাবে সিডিএ গত ১৭ আগস্ট উক্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর আগে গত ৮ আগস্ট কোর্ট হিলের অনুমোদনবিহীন স্থাপনার তালিকা চেয়ে জেলা প্রশাসন সিডিএকে চিঠিটি দেয়। এ বিষয়ে সিডিএর সচিব মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা গতকাল আজাদীকে বলেন, প্রতিবেদনটি আমরা জরুরি ভিত্তিতে দিয়েছিলাম। স্পর্শকাতর হওয়ায় আমরা বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখছি। আমাদের কাজ এখনও চলছে। শেষ হলে আরও একটি প্রতিবেদন আমরা জেলা প্রশাসনকে দিব।
জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, সিডিএর প্রতিবেদনটি স্পেসিফিক হয়নি। কোর্ট হিল খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এ প্রতিবেদন বিষয়ে বুধবার (আজ) সিডিএর বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হবে। তিনি বলেন, কোর্ট হিল সরকারি খতিয়ানভুক্ত পাহাড়ি জায়গা। ইচ্ছা হলেই যে কেউ এখানে ভবন করতে পারে না। সিডিএও সেভাবে অনুমোদন দিতে পারে না। সরাসরি সরকারের অনুমোদন থাকতে হবে।
গত ২ সেপ্টেম্বর কোর্ট হিলে থাকা তিনশ’র উপর অবৈধ স্থাপনাকে ঘিরে জেলা প্রশাসন একটি সতর্কিকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এর আগে গত ২৯ আগস্ট বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড ও ওয়াসাকে পৃথক দুটি চিঠি দেয়া হয়। কোর্ট হিল এলাকায় কেবল সরকারি ভবন এবং স্থাপনাসমূহ ব্যতীত অনুমতি ছাড়া কোনো প্রকার বিদ্যুৎ ও পানি সংযোগ প্রদান না করতে চিঠিতে অনুরোধ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি ও চিঠি চলাচালির এসব বিষয় মেনে নিতে পারে নি আইনজীবীরা। তারা গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। আইনজীবী নেতারা বলছেন, চলাচলের রাস্তা দখল করতে না দেওয়াতে জেলা প্রশাসন তাদের পেছনে গেছে। ২০১৯ সালে সাবেক প্রশাসকও একই কাজ করেছিলেন। সে সময় একটি ব্যাংকের বুথ বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। আমাদের এবারের বিরোধিতার মতো সে বারও তারা সফল হতে পারেননি। জেলা আইনজীবী সমিতি জানায়, বুধবার (আজ দুপুরে) এ বিষয়ে বিশেষ সাধারণ সভা হবে। সভায় পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিরীষতলায় ছবি আঁকছেন শিল্পীরা
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে হাসপাতাল করার জন্য আরো অনেক জায়গা আছে