রুমায় চুরি যাওয়া ভিজিডির ১৩৪ বস্তা চাল উদ্ধার

বান্দরবান প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৪ নভেম্বর, ২০২১ at ১:২৬ অপরাহ্ণ

বান্দরবানের রুমায় হতদরিদ্রদের মাঝে (ভিজিডির চাল) বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া ১৩৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বমের বিরুদ্ধে এসব চাল লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে মঙ্গলবার রাতে রুমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মামুন শিবলীর নির্দেশে ইউপি চেয়ারম্যান ‘কালো বাজারে বিক্রির জন্য’ লুকিয়ে রাখা ১৩৪ বস্তা চাল ফেরত দেন এবং ইউএনও সেগুলো গুদামে রেখে তালা লাগিয়ে দেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জিরা বম এবারও ঘোষিত তফসিল মোতাবেক দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গেলো অক্টোবরে উল্লিখিত ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য ভিজিডির ১৩৪ বস্তা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান জিরা বম সে চাল বিতরণ করেননি। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান চালগুলো বিতরণ না করে কালো বাজারে বিক্রির জন্য লুকিয়ে রেখেছিলেন। এ নিয়ে উপকারভোগীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিলে বিষয়টি তারা রুমার ইউএনওকে জানান।
ইউপি মেম্বার রমেশ ত্রিপুরা বলেন, চাল চুরির বিষয়ে আমার জানা নেই। কত বস্তা চাল তাও জানি না। চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছিলেন রাতে চালের বস্তা আসবে, তা ঠিকমতো বুঝিয়ে দিতে। ভিজিডির চাল চুরির বিষয়টি অস্বীকার করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিরা বম বলেন, ‘পরে বিতরণের জন্য চাল আমি বান্দরবান সদরে গুদামে রেখেছিলাম। এর আগেই হইচই হয়ে গেছে। তাই চালের বস্তা বান্দরবান থেকে রুমা নিয়ে এসেছি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মামুন শিবলী জানান, ‘হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য বরাদ্দের ১৩৪ বস্তা চাল বিতরণ না করে রুমার ৩ নম্বর রেমাক্রী প্রাংসা ইউপির চেয়ারম্যান নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। এমন খবর পেয়ে ভিজিডির চালগুলো উদ্ধার করে গুদামে রেখে তালা দিয়েছি।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়া মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ
পরবর্তী নিবন্ধফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ শুরু আজ