চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া দুই শিক্ষার্থীকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তি করানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। গতকাল বুধবার হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবী মাহবুব শফিক বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে দিয়েছেন। তবে দুই শিক্ষার্থী ফাহিমা এবং জিন্নাতুন ফেরদৌস নাইমকে যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ভর্তির বিষয়ে বিবেচনা করতে চবি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থাৎ যদি তারা কেবল প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার এস এম আকবরকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিকে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়া চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় (এ, বি ও সি ইউনিটে) মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার পরও ভর্তি প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮২ জন শিক্ষার্থী তিনটি রিট করেন। এছাড়া ডি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী একটি রিট করেন।
এসব রিটের শুনানি নিয়ে ২০২০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ চবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তিন ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ডি-ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফলাফল প্রকাশ ও সেই অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আবেদনগুলো দীর্ঘদিন শুনানিতে না আসায় শিক্ষার্থীরা গত রোববার ভার্চ্যুয়ালি বিষয়টি আপিল বিভাগের নজরে এনে বলেন, আমরা কোথাও ভর্তি হয়নি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও আমাদের ভর্তি করেনি। আমাদের শিক্ষাজীবন আটকে আছে।
এরপর আদালত শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। বুধবার শুনানিতে শিক্ষার্থীদের পক্ষের আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি বলেন, ৮২ জনের অনেকে অন্য জায়গায় ভর্তি হয়ে গেছে। এখন বাকি আছেন ৫৭ জন।
