রিজার্ভ বাড়াতে তেল-গ্যাস উত্তোলনে গুরুত্ব দিতে হবে

মতবিনিময়কালে তরফদার রুহুল আমিন

| রবিবার , ৫ জুন, ২০২২ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন এবং রিজার্ভ রক্ষায় এই মুহূর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল উত্তোলনে গুরুত্ব দিতে হবে। একইসঙ্গে দেশে উৎপাদিত হয় এমন পণ্য আসন্ন বাজেটে আমদানি নিষিদ্ধ করা উচিত। গতকাল শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন সাইফ পাওয়ার টেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন। এসময় তিনি প্রেস ক্লাবের সদস্য কল্যাণ তহবিলের জন্য ২৫ লাখ টাকা অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের আজীবন দাতা সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতি প্রতিবছর যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বে টার্মিনালের বিকল্প নেই। এখানে যে চ্যানেল বেরিয়েছে তা ব্লু ইকোনমির ফসল। দেশে অনেক বড় বিনিয়োগকারী রয়েছেন। তারা প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করতে সক্ষম। চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব টার্মিনাল থাকবে। সিসিটি, এনসিটির ট্যারিফ নির্ধারণ করা আছে। এর সঙ্গে বে টার্মিনালের সামঞ্জস্য থাকতে হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের শীর্ষ কন্টেইনার টার্মিনাল অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের এমডি বলেন, ফরেন কারেন্সির অস্থিরতা সারা বিশ্বে। ডলারের দাম বেড়েছে। রপ্তানি না বাড়লে রিজার্ভে টান পড়বে। এজন্য ফরেন কারেন্সি আহরণে দেশীয় সরকারি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে হবে। বিষয়টি সূক্ষ্মভাবে বিবেচনা করতে হবে। ফরেন কারেন্সির রেভিনিউ আসছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। কিন্তু এতে ভ্যালু এডিশন কম। আরও নতুন নতুন আয়ের খাত বের করতে হবে। ব্লু ইকোনমি থেকে বছরে ৭০-৮০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। ব্লু ইকোনমিকে এগিয়ে নিতে অথরিটি করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। খাদ্যশস্য রাশিয়া ইউক্রেন থেকে বেশি আসত। তেলের ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ায় সমস্যা ছিল। তা আস্তে আস্তে প্রশমিত হচ্ছে। একইভাবে চালের ক্ষেত্রেও মূল্য সহনীয় রাখতে কৃষিতে নজর দিতে হবে। আমরা কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষক ন্যায্য মূল্য না পেলে সে চাষ করবে না। শ্রমিক এবং চাষের উপকরণের দাম বেড়েছে। বাজেটে প্রান্তিক চাষিদের দিকে নজর দিতে হবে। ধানের ফলন বাড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার করতে হবে। মাত্রাতিরিক্ত দাম বাড়ানোর সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ীরা জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তি দিতে হবে। আমাদের খাদ্যশস্য নিয়ে বেশি ব্যবসা করা যাবে না।

এ সময় প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মনজুর কাদের মনজু, দেবদুলাল ভৌমিক, প্রেস ক্লাবের সদস্য কাজী আবুল মনসুর, জেডএম এনায়েতউল্লাহ, সিরাজুল করিম মানিক, মাখন লাল সরকার, শেখর প্রসাদ ত্রিপাঠি, মোহাম্মদ ফারুক, সুভাষ কারণ, মুজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহামারি পরবর্তী প্রথম বিদেশি হজযাত্রীদের গ্রহণ করলো সৌদি আরব
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে টার্গেটের ৩০ শতাংশও পূরণ হয়নি প্রথম দিন