চট্টগ্রামে টার্গেটের ৩০ শতাংশও পূরণ হয়নি প্রথম দিন

বুস্টার ডোজ সপ্তাহ শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৫ জুন, ২০২২ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

সারা দেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ সপ্তাহ। যা ১০ জুন পর্যন্ত চলবে। গতকাল প্রথম দিন মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় ৬৪ হাজার ৮৯৭ জন টিকা গ্রহীতা তাদের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কম বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, গতকাল একদিনে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় প্রায় ৩ লাখ মানুষকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু টিকা নিয়েছেন ৬৫ হাজারেরও কম। হিসেবে প্রথম দিন লক্ষ্যমাত্রার ৩০ শতাংশেরও কম সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মহানগরে বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২০ হাজার ৮৩৬ জন। আর উপজেলা পর্যায়ে বুস্টার ডোজ গ্রহীতার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৬১ জন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী আজাদীকে বলেন, উপজেলা পর্যায়ে ২ লাখের মতো টার্গেট ছিল। কিন্তু টিকা নিয়েছেন মাত্র ৪৫ হাজারের মতো। অথচ উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালানো হয়। এরপরও মানুষ টিকা নিতে কম আসছে। মহানগরেও টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ কম বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। অথচ, করোনা নিয়ন্ত্রণে টিকার বিকল্প নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের অবশ্যই বুস্টার ডোজ নেয়া জরুরি। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের চার মাস পার হলেই ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী সবাই করোনার টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। তবে টিকা নিতে আসার সময় অবশ্যই টিকা কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। নিকটবর্তী টিকাকেন্দ্রে গিয়ে করোনার টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নেওয়া যাবে। সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে টিকা কেন্দ্রে আসতে হবে।

এদিকে, স্থায়ী কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি বুস্টার ডোজ প্রয়োগে মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি করে কেন্দ্র করা হয়েছে জানিয়ে চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী আজাদীকে বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ জন করে এক ওয়ার্ডে দিনে মোট ৬০০ জনকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে। ৪ জুন থেকে ১০ জুন, ৭ দিনই এ কার্যক্রম চলবে।

আর উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে ৭ দিন দেয়া হলেও ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে ২ দিন বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে মোট ১ হাজার জনকে বুস্টার ডোজ প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে এর বেশিও হতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা জানান, ফাইজারের টিকা প্রয়োগের সুবিধা সম্পন্ন কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা এবং অন্য কেন্দ্রেগুলোতে (যেসব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের সুবিধা নাই) মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজের পাশাপাশি করোনার টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে টিকা একটি কার্যকর সমাধান। করোনার টিকার পূর্ণ সুফল পেতে হলে অবশ্যই তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরিজার্ভ বাড়াতে তেল-গ্যাস উত্তোলনে গুরুত্ব দিতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে বিএনপির সাবেক এমপির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ