রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণে কাঁদলেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৫ মে, ২০২২ at ৫:০৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিজের চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের কথা স্মরণ করতে গিয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। এ সময় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ আবেগে কেঁদে ফেলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি বড় একা হয়ে গেছি। আমার রাজপথের সহযোদ্ধারা আমাকে ছেড়ে একে একে সবাই চলে গেছে চিরতরে। আমি আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলতে চাই, আমার সাথে যারা রাজনীতি করেছিল, যারা রাজপথে ছিলো, আমার বন্ধু আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, কায়ছার অনেকেই আজ আমাদের মাঝে নেই। তারা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আমি বড্ড একা হয়ে গেছি। একা পড়ে আছি। আমরা দীর্ঘ জীবন একসাথে রাজপথে ছিলাম-আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলাম। রাজপথে কতো অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিভিন্ন সময় একসাথে চলাফেরা করেছি। বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমার এই জীবনে। তাদের কথা আজ খুব মনে পড়ছে। রাজপথের সহযোদ্ধাদের এই স্মৃতি কখনো ভুলার নয়।
তিনি বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অনেক ঘটনা আছে। তার মধ্যে একটি হলো লালদীঘির জনসভা। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন যে ১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে তিনি লালদীঘি ময়দানে জনসভা করবেন। লালদিঘিতে জনসভার আমি অনুমতি পেয়েছিলাম। পরবর্তীতে তৎকালীন ডিসি এবং পুলিশ কমিশনার আমাকে জানালেন আপনারা এখানে জনসভা করতে পারবেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা দেখেছি আমি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বললেন, ‘আমি লালদিঘি ময়দানেই জনসভা করব।’ তখন লাখ লাখ জনসমাগম হলো। স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশ গুলি চালালো এবং সেদিন ২৪ জন শহীদ হলো। আমি এবং দক্ষিণ জেলার সুলতান মাহমুদ চৌধুরীসহ আমাদেরকে গুলি করে পুলিশ নালায় ফেলে দিলো। এ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামে আমিও এখন শেষের দিকে। আমার বন্ধু আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, কায়ছার আজ আমার পাশে নেই। এরকম কতো শত স্মৃতি আছে আমার জীবনে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাংবাদিকদের সাথে হুইপ স্বপনের রূঢ় আচরণ
পরবর্তী নিবন্ধতিন ‘তান্ত্রিক কবিরাজের’ কাছে ৫ কোটি টাকার সাপের বিষ