রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির অস্তিত্ব সন্দেহজনক : প্রধানমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৩১ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাজা হওয়ায় রাজনৈতিক দল হিসেবে ভবিষ্যতে দলটির অস্তিত্ব টিকে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, অস্ত্র চোরাচালান, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, এতিমদের অর্থ আত্মসাত মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির নেতৃত্বে একটি রাজনৈতিক দল টিকে থাকবে কীভাবে?
গতকাল সোমবার কুইন এলিজাবেথ সেন্টারে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী জনগণের দেয়া এক নাগরিক সংবর্ধনায় ভাষণদানকালে প্রধানমন্ত্রী এমন প্রশ্ন তোলেন। খবর বাসসের। লন্ডনে তাঁর বাসস্থান থেকে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব অস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির পাশাপাশি হত্যা মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত। কেবলমাত্র আমাদেরই (সরকার) না, বেগম খালেদা জিয়ার ছেলেদের এই দুর্নীতির চিত্র আমেরিকার এফবিআইর করা তদন্তে উঠে এসেছে। আমরা (সরকার) বিদেশ থেকে তাদের পাচারকৃত কিছু অর্থ দেশে ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তাদের (খালেদা জিয়া ও তার ছেলেদের) কোন দেশপ্রেম ছিলনা, বরং তাদের চিন্তা ছিল ক্ষমতা ভোগ এবং লুঠপাট করা। শেখ হাসিনা লন্ডনে তাদের (তারেক রহমান) বিলাসবহুল জীবন যাপন ও আয়ের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
তিনি বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় এসে হাওয়া ভবন চালুর মাধ্যমে লুঠপাটের রাজত্ব কায়েম এবং লুঠেপুটে খাওয়া-দাওয়া শুরু করে। দেশের জনগণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে। ঐ সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে না, আজকের বাংলাদেশ তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। আমাদের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে আসে এবং আমরা সক্ষমতা অর্জন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য গড়তে ক্ষমতায় আসেনি। আমরা জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে ক্ষমতায় এসেছি। এটিই আমাদের লক্ষ্য। আর এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
সরকার প্রধান বলেন, আমার পিতা পাকিস্তানিদের কাছ থেকে এই দেশ স্বাধীন করেছেন এবং আমি জানি কীভাবে বাংলাদেশের উন্নতি করতে হয়।
৭ নভেম্বরের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং ১৯৭৫ সালের পর ১৯ বার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো হয়। প্রতি বার অভ্যুত্থানকালে জিয়াউর রহমান সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হাজার হাজার কর্মকর্তা ও সৈন্যকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর হচ্ছে সৈনিক হত্যা দিবস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেশি ভাড়া নিলে কঠোর ব্যবস্থা হুঁশিয়ারি কাদেরের
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা