রাঙ্গুনিয়ার মরমী শিল্পী শামসু ভাণ্ডারী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:৪৯ পূর্বাহ্ণ

রবিউল আউয়াল মাস কিংবা যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেই শোনা যায় কিছু গজল কিংবা নাত। তার মধ্যে অন্যতম হল-‘আমি মদিনার পাগল, আমি নবীজির পাগল, মদিনার ধুলবালি মোর নয়নের কাজল’, ‘বারই রবিউল আউয়াল ঘুরে এসেছে, সকল ঈদের সেরা ঈদ ঘুরে এসেছে’- জনপ্রিয় এই না’তে রাসুলের (দ.) রচয়িতা রাঙ্গুনিয়ার শামসুল ইসলাম ভাণ্ডারী।
তার বাড়ি উত্তর রাঙ্গুনিয়ার রাজানগর ইউনিয়নের হালিমপুর গ্রামে। জীবনের ৬০ বছরেরও বেশি সময় যিনি ব্যয় করেছেন সঙ্গীতের পেছনে। শুধৃু না’ত কিংবা গজল নয়; তিনি মাইজভাণ্ডারী গান, ইসলামী সঙ্গীত, দেশাত্মবোধক, বাউল, মরমী ও পল্লী বিচ্ছেদসহ ৩ হাজারেরও বেশি গান রচনা করেছেন। সুর দিয়েছেন ১ হাজারেরও বেশি গান, গজল ও না’াতে। তাঁর লেখা আলোর জগত, মদিনার ফুল, গোলজারে মারফত, দো নয়নের জল, ভাব সাগরের জল, ব্যথার কথা, গোলজারে হাকিকত, নবী নুরানী বুলবুলসহ ৮টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। অপ্রকাশিত রয়েছে আরও ৫ শতাধিক না’ত, গজল ও মাইজভাণ্ডারী গান। তার লেখা না’আত ও মরমী গানের প্রচুর অডিও বেরিয়েছে। চট্টগ্রামের স্বনামধন্য শায়েররা তাঁর লেখা হৃদয়স্পর্শী না’তে রাসুল (দ.) অডিও এ্যালবাম আকারে বের করেছেন। সদালাপী, বিচক্ষণ ও শান্ত স্বভাবের এই মানুষটি ২০১০ সালের ২৯ জানুয়ারি ইহকাল ত্যাগ করেন। তিনি চলে গেছেন কিন্তু চিরজীবন বেঁচে থাকবেন তার লেখা বাউল, মরমি, না’ত, গজল, ভাণ্ডারী ও মরমী গানের মধ্য দিয়ে। তার লেখা গান ও গজল শিল্পীদের মুখে মুখে থাকবে আজীবন।
তাঁর চতুর্থ সন্তান মোহাম্মদ বখতিয়ার হোসাইন বলেন, আমার বাবা শামসুল ইসলাম ভাণ্ডারীর লেখা গান, নাত, গজল, মরমী সঙ্গীত এখনো গেয়ে চলেছেন দেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা। এরমধ্যে জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী মমতাজ আমার বাবার লেখা মরমী গানগুলো গেয়েছেন। এছাড়া ভান্ডারী গানে কন্ঠ দিয়েছেন জনপ্রিয় শিল্পী শিমুল শীল, মান্নান কাউয়াল, শোবায়ের কাউয়ালসহ অসংখ্য কাউয়ালী শিল্পী। এছাড়া নুরুল ইসলাম ফারুকীর উপস্থাপনায় চ্যানেল আইয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামেও উঠে এসেছিল আমার বাবার লেখা বিভিন্ন গজল ও নাত। উনার লেখা সংগীতের উপর বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রে অসংখ্য টকশো প্রচারিত হয়েছে। উনি লেখক হিসেবে নানা পুরস্কার অর্জন করেছেন। উনার লেখাগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার স্বত্ব হিসেবে আজীবন সংরক্ষণ করবে মর্মে স্বীকৃতি মিলেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনুমতি মিলল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে
পরবর্তী নিবন্ধসুখবর পেলেন পরীমণি