বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রাচীণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রাউজানের মহামুনি মন্দিরে গতকাল বুধবার আদিবাসী নারী-পুরুষের ঢল নেমেছে। ১৮৪৩ সাল থেকে বাংলা বর্ষের শেষ দিনে (চৈত্র সংক্রান্তি) এই মন্দিরে পূজা দিতে আসা-যাওয়ায় আছেন পার্ব্বত্য জেলায় বসবাসকারী আদিবাসী নারী পুরুষরা। তারই ধারাবাহিকতায় মুহামুনিতে গতকালের আদিবাসীদের জনস্রোত।
উল্লেখ্য, গত তিন বছর করোনা মহামারির কারণে আদিবাসীরা এই মন্দিরে আসতে পারেনি চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবে যোগ দিতে। এ বছর মহামারির আতংক না থাকায় অতীতের রেওয়াজ অনুসরণ করে বাংলা বর্ষের শেষ দিনে তারা যোগ দিয়েছে চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবে। এলাকার প্রবীণদের মতে যুগে যুগে চলে আসা এই ঐতিহাসিক মেলা এক সময় পরিণত হয় পাহাড়ী-বাঙালীর মিলন মেলায়।
গতকাল এখানে দেখা গেছে আদিবাসীদের এই উৎসবকে ঘিরে মন্দির এলাকায় বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা। নতুন বছরের সূচনার সূর্যোদয়ের সাথে আদিবাসীরা মুহামুনি গ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে মেলা থেকে কেনাকাটা করবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।
আজ বৃহস্পতিবার মন্দির এলাকার নিয়ন্ত্রণ থাকবে মহামুনি গ্রামবাসীর হাতে। নববর্ষের প্রথম দিন থেকে তারা এখানে আয়োজন করবে বর্ষবরণের বিভিন্ন রকমের কর্মসূচি। চলবে কয়েকদিন।