রমজানের আগে চড়া সবজি ও মাছ-মাংসের বাজার

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

আজ চাঁদ দেখা গেলে কাল থেকে শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান। প্রতি বছর রমজান শুরু হলে নিত্যপণ্যের বাজার হু হু করে বাড়তে থাকে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গত দুদিনের ব্যবধানে বিশেষ সবজির মধ্যে শসা ও বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে রমজানে ইফতারিতে শরবতের চাহিদা বাড়ে। বাড়তি এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে লেবুর দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এছাড়া মাছ ও মাংসের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি ও বেটারি গলি কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ১০ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া শসা কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, তিতা করলা ৬০ টাকা, লাউ কেজি ৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ৪০ টাকা, পাকা ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কচুর লতি ৪০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, শিম ৬০ টাকা, ফুলকপি ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ৭০ টাকা এবং বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দামে। এছাড়া গত দুইদিন আগে প্রতি পিস লেবু ১০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে হঠাৎ করে বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। তারেক নেওয়াজ নামের একজন ক্রেতা জানান, রমজান মাস আসলে বিক্রেতারা নিত্য নতুন অজুহাতে সবজির বাজার বৃদ্ধি করে থাকে। বিষয়টা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা জরুরি।
অপরদিকে মাছ বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মিঠা পানির মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও কমেছে সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ। ফলে ওইসব দামও কিছুটা চড়া। গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি মাছ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিশ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ পর্যন্ত। এছাড়া লইট্টা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, মাগুর বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, বাটা মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কোরাল মাছ ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা, রূপচাঁদা (সাদা) ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা, রূপচাঁদা (কালো) ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। অপরদিকে দেশী শিং মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়, কই ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, মাগুর ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, শৈল ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, কাতাল ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, রুই ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা ৫০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ টাকা ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা এবং কেচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকায়। মাছ বিক্রেতা আলী হোসেন জানান, মিঠা পানির মাছের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। কারণ সাগরে এখন আগের মতো মাছ ধরা পড়ছে না। তাই মাছের পাইকারী বাজার থেকে সরবরাহও কমে গেছে।
অন্যদিকে মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, সোনালি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩১০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস গত সপ্তাহে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। অপরদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকায়।
মাংস সৈয়দ আহম্মদ বলেন, অনেক দিন ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি। তবে এখন আগের তুলনায় মুরগির সরবরাহ বাড়ছে। রমজানে দাম বাড়ার সুযোগ নেই। এছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম দীর্ঘ সময় ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ কর্নার ইতিহাসের রাজসাক্ষী
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথমবার মানব জিনের পূর্ণাঙ্গ বিন্যাস জানল মানুষ