পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড। টানটান উত্তেজনার এই ম্যাচে বল হাতে একাই পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন উংল্যান্ডের পেস বোলার স্যাম কারেন। বল হাতে নিঃসন্দেহে ম্যাচের সেরা পারফর্মার এই ইংলিশ পেসার। শেষ পর্যন্ত তার দুর্দান্ত বোলিং ম্যাচের মোড় ইংল্যান্ডের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। তিনি যে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনের কোমর ভেঙ্গে দিয়েছিলেন সেখান থেকে আর বের হয়ে আসতে পারেনি বাবর আজমের দল। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংলিশদের শিরোপা উৎসবের দিনে ব্যক্তিগত দুটি বড় পুরস্কার একাই বাগিয়ে নিয়েছেন স্যাম কারেন। একইসঙ্গে ম্যাচ ও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। প্রথম বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন তিনি। এর আগে হয় ব্যাটার কিংবা অলরাউন্ডাররা এই পুরস্কার হাতে তুলেছিলেন। এবারের ফাইনাল ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এটা তাদের ইতিহাসের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শিরোপা। শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। বাবর-রিজওয়ানদের এত অল্পতে আটকে দেওয়ার পেছনে বল হাতে মূল ভূমিকা রাখেন কারেন। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচে ৩ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। ইকোনোমি রেট মাত্র ৩। যা তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। পুরো বিশ্বকাপেই বল হাতে দারুণ ফর্মে ছিলেন কারেন। সবমিলিয়ে এবারের আসরে মোট ১৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। তার চেয়ে বেশি উইকেট গেছে শুধু লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার দখলে। তিনি নিয়েছেন ১৫টি উইকেট। তবে হাসারাঙ্গা আবার প্রথম পর্বে খেলেছেন। কিন্তু কারেনের দল ইংল্যান্ড সরাসরি খেলেছে সুপার টুয়েলভ পর্বে। ফলে হাসারাঙ্গার থেকে দুই ম্যাচ কম খেলেছেন কারেন। হাসারাঙ্গা খেলেছেন ৮ ম্যাচ। আর কারেন খেলেছেন ৬ ম্যাচে। এবারের টুর্নামেন্টের সেরা বোলিং ফিগারও ইংলিশ পেসার স্যাম কারেনের । আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য এভারেজের দিক থেকে কারেনের অবস্থান সাতে । তিনি গড়ে রান দিয়েছেন ১১.৩৮ করে। তবে ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের পেছনে দারুন ভুমিকা রেখেছেন এই পেসার। সে হিসেবে দারুন দুটি পুরষ্কার তুলে নিলেন নিজের হাতে।
