মোস্তাকিমকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার মো. মোস্তাকিম পাঁচদিন করাগারে থাকার পর মুক্তি পেয়েছেন গত রোববার। মুক্তি পাওয়ার একদিন পর তিনি অভিযোগ করছেন, গ্রেপ্তার পরবর্তী থানায় তাকে মারধর করে নির্যাতন করা হয়েছে। শরীরের নানা জায়গায় গুরুতর জখম করা হয়।

মোস্তাকিমের আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসানও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, মোস্তাকিমকে যে মারধর করা হয়েছে তা তার শরীর দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যায়। তিনি বলেন, ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে অন্যায়ভাবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুরো বিষয়টি আদালতকে আমরা বুঝাতে পারায় তার জামিনও হয়েছে। আইনজীবী বলেন, হেফাজতে নির্যাতনের বিষয়টি আজকেই (সোমবার) তিনি আমাদের জানিয়েছেন। তিনি এখন চিকিৎসা নিবেন। চিকিৎসা শেষে হেফাজতে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন আইনে মামলা করা হবে। পুরো ঘটনা বিষয়ে সিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবিরের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর জোন) আরাফাতুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, থানায় হেফাজতে নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই, আমার জানাও নেই। আমি জানি, এমন কিছুই ঘটেনি। মোস্তাকিমও একটি ভিডিওতে বলেছে, তার সাথে কিছুই ঘটেনি। এখন সে অভিযোগ আনছে। আমরা এ ধরনের কাজ করি না। আইন অনুযায়ী আমরা চলি।

চমেক হাসপাতালের সামনে ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মো. মোস্তাকিম গত রোববার চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান।

গত ১০ ডিসেম্বর কিডনি ডায়ালাইসিস ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোগীর স্বজনেরা আন্দোলন করে। এ সময় পুলিশের সাথে আন্দোলনরতদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার করা হয় রোগীর স্বজন মো. মোস্তাকিমকে। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে মোস্তাকিমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপুলিশের ভূমিকা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি সমাবেশ করে অশান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে : তথ্যমন্ত্রী