মেয়াদ শেষে পৌরসভার দায়িত্ব ছাড়তে হবে বসবে প্রশাসক

| মঙ্গলবার , ৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:২০ পূর্বাহ্ণ

প্রতি পাঁচ বছরে নির্বাচন আয়োজনের পদ্ধতি কঠোরভাবে অনুসরণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধনী) আইন, ২০২১ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকেই এতে যোগ দেন। খবর বাসসের।
বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, দেখা গেছে যে, মেয়াদের শেষের দিকে, কোনো কোনো চেয়ারম্যান আদালতে যান এবং পরবর্তী নির্বাচন আয়োজনে বিঘ্ন সৃষ্টি করেন।
তিনি আরো বলেন, আর এভাবেই কিছু চেয়ারম্যান পাঁচ বছরের বেশি, এমনকি ১৫-১৬ বছর পর্যন্ত তাদের পদে বহাল থাকেন। বিদ্যমান আইনের সুযোগ নিয়েই তারা এমনটি করেন। আর এভাবেই পরবর্তী নির্বাচন আয়োজনের আগ পর্যন্ত তারা ওই পদে বহাল থাকেন। তিনি আরো বলেন, এই অপচেষ্টা বন্ধ করতেই সরকার ২০১৯ আইনের এই সংশোধন করেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রস্তাবিত আইনটি সম্পর্কে বলেন, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হলে সরকার সরকারি চাকরীজীবীদের মধ্য থেকে বা প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞ ও দক্ষ অন্য কোনো যোগ্য ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসক সর্বোচ্চ ছয় মাসের জন্য এই পদে বহাল থাকতে পারবেন এবং এই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হতে হবে। সভায় নতুন কোনো পৌরসভার জন্য তালিকাভুক্ত হতে হলে ওই এলাকার প্রতি কিলোমিটারে ন্যূনতম ২ হাজার জনগণ থাকতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমান আইনে প্রতি কিলোমিটারে ন্যূনতম ১ হাজার ৫০০ জনগণ থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সভায় পৌরসভা সচিবের নাম পরিবর্তন করে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে- প্রস্তাবিত আইনে আরেকটি শর্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যাতে বলা হয়, কোনো পৌরসভা তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১২ মাস বেতন বা অন্য কোনো ভাতা প্রদানে ব্যর্থ হলে, সরকার সেই পৌরসভার মর্যাদা বাতিল করতে পারবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলতেই তোলপাড়
পরবর্তী নিবন্ধচমেকের ৫ তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে রোগীর মৃত্যু দায় কার?