মেট্রোরেলের সমীক্ষায় সময় লাগবে ১৮ মাস

মেয়রের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

| মঙ্গলবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, উন্নয়ন সহযোগী দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিশেষভাবে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকার সহায়তায় প্রকল্পের প্রাথমিক সমীক্ষা কার্যে ৫১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সদিচ্ছার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নগরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় বিনিয়োগে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এখানে বাস্তবায়ন হচ্ছে বে-টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু শিল্পাঞ্চল, কর্ণফুলী তলদেশে টানেল, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ নানাবিধ উন্নয়ন প্রকল্প। ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে উন্নীত হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে বিনিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ আরো বৃদ্ধি করার জন্য তিনি আহ্বান জানান। দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন বলেন, চট্টগ্রাম পাহাড়, নদী, সাগর বেষ্টিত একটি অনন্য নগরী। যে কোনো বিদেশি পর্যটকের সৌন্দর্য্য
দেখে বিমুগ্ধ হবে। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিমত প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিখাত পোশাকশিল্পের প্রারম্ভে অবদান রাখতে পারায় আমরা গর্ব অনুভব করি। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের আওতায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে কেইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমতিপ্রাপ্ত হয় এবং ইয়ংওয়ানের মত পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে শিল্পস্থাপনের মাধ্যমে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালিত করে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কেইপিজেডের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে অন্যদেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থা পাবে। বাংলাদেশকে ২০৪১সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিকাশ ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কোইকার সহযোগিতায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পে নগরীর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় ও তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এই সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় ১৮মাস সময় প্রয়োজন হবে বলে তিনি মেয়রকে অবহিত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারী জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকার প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মি. জিনহুক পাইক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৫৩০
পরবর্তী নিবন্ধছোট মহেশখালীতে বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত