মৃত ভেবে ফেলে দেয়া হয় রাঙ্গুনিয়ার দুর্গম এলাকায়

নগরীতে গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতন

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩১ মে, ২০২১ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

১৫ বছরের কিশোরী নিলুফার বেগম। হামজারবাগের একটি বাসায় ৩ মাস ধরে গৃহপরিচারিকার কাজ করতো। কাজে ছুতো পেলেই নেমে আসতো তার উপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা। গত ২৭ মে অতিরিক্ত মারধরের পর অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে মৃত ভেবে নগরী থেকে রাঙ্গুনিয়ায় দুর্গম এলাকায় ফেলে আসেন বাড়ির মালিক। পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগের মোমিনবাগ আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের সহায়তার ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় পাঠানো হয় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একটু সুস্থ হয়ে উঠলে পুলিশের কাছে তুলে ধরে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্মম নির্যাতনের চিত্র। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির মালিক দম্পতি ও দারোয়ানকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির। নিলুফারের মা কহিনূর আকতার বলেন, আমি আমার মেয়ের নির্যাতনের বিচার চাই। যে পরিমাণ নির্যাতন করেছে সে চলাফেরাও করতে পারছে না।
নির্যাতনের শিকার গৃহপরিচারিকা নিলুফার বেগমের বরাত দিয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ আজাদীকে বলেন, তিন মাস ধরে ওই বাসায় কাজ করতো সে। কাজ শুরুর পরদিন থেকে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। খেতে দিত না। কিছু হলেই চামচ গরম করে গায়ে ছ্যাঁকা দিত। কথায় কথায় গায়ে ঢেলে দিত গরম পানি। তারা খাওয়া দাওয়া করার সময় তাকে টয়লেটে বন্দি করে রাখত। এই তিন মাসে এক টাকাও বেতন দেয়নি। কয়েকদিন আগে তাকে বেশি মারধর করে। অজ্ঞান হয়ে গেলে মরে গেছে ভেবে জঙ্গলে ফেলে দেয়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজ, বেড়েছে দাম
পরবর্তী নিবন্ধখলিলুর রহমান মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি