খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজ, বেড়েছে দাম

ভারত থেকে আমদানি বন্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৩১ মে, ২০২১ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

নতুন করে আইপি (ইম্পোর্ট পারমিশন) ইস্যু না করায় গত এক মাস ধরে বন্ধ ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি। সরকার দেশের কৃষক বাঁচাতে আইপি বন্ধ রাখে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলেও মিয়ানমার থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের বাজারে দীর্ঘ সময় ধরে ভারতীয় পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ব্যবহার হয়ে আসছে। এর আগে গত ২০১৯ সালের শেষে দিকে ভারত হঠাৎ করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ এনে ব্যবসায়ীরা পরিস্থিতি সামাল দেন। বাজারে বর্তমানে মিয়ানমার এবং দেশী পেঁয়াজ রয়েছে। গত দুইদিনে মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিতে ৫-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। গতকাল নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশী পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। এছাড়া মিয়ানমারের পেঁয়াজ কেজিতে ৫-৬ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকায়।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। আইপি ফুরিয়ে যাওয়ায় গত এপ্রিলের শেষ দিকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরকার নতুন করে আর ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানিতে আইপি ইস্যু করেনি। তবে বাজার সামাল দিতে গত এক সপ্তাহ আগে আমদানিকারকরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনা শুরু করেন। পেঁয়াজ আসার পর থেকে দামও ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রতি কেজি রেণুর দাম এক লাখ ৪০ হাজার টাকা
পরবর্তী নিবন্ধমৃত ভেবে ফেলে দেয়া হয় রাঙ্গুনিয়ার দুর্গম এলাকায়