মিথ্যাচার আর গুজব রটানোই বিএনপির রাজনীতি

কক্সবাজারে তথ্যমন্ত্রী

| শনিবার , ৭ মে, ২০২২ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশ বিরোধী অপশক্তিকে সাথে নিয়ে মিথ্যাচার আর গুজব রটানোই বিএনপির রাজনীতি। দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন তারা চোখে দেখে না। তিনি গতকাল শুক্রবার কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, সবাই এখন আওয়ামী লীগ করতে চায়, সবাই এখন নৌকায় উঠতে চায়। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। সমাজে যারা ধিকৃত, মাদকচোরাকারবার, জায়গা দখলের সাথে জড়িত, চাঁদাবাজি বা অন্যান্য অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদেরকে আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই। খবর বাসসের।

এবার মানুষ অত্যন্ত আনন্দ উল্লাসের সাথে নির্বিঘ্নে গ্রামে গিয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, এটি অভাবনীয়, অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন উল্টো কথা, কারণ তাদের কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার করা এবং এর মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, যেভাবে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে, তা জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। সরকারের এই সাফল্যগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপি জামায়াত যে অপপ্রচার করছে তার বিরুদ্ধে জনগণের কাছে সত্য প্রচার করতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয় হবে। দলের প্রতি যাদের ত্যাগ আছে, নিষ্ঠা রয়েছে, দলের দু:সময়ে যারা দলের প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছে তাদেরকে দলীয় নেতৃত্বের আসনে বসাতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দলীয় নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কার অর্থবিত্ত আছে তা কখনও বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের দলের সভাপতি তা কখনও বিবেচনায় আনেননি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও আনেননি। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, সহ সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক মুকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাহাদুর আহমেদ সোহেলসহ দলীয় নেতাকর্মীরা যোগ দেন।

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী আরো বলেন, করোনাকালে বিএনপিজামায়াতকে দেখা যায়নি। অন্য কোনো দলকেও দেখা যায়নি। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, করোনাকালীন নানা ধরনের সহায়তা দিয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে এবং এটি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ৫ জন নেতা ও জাতীয় সংসদের কয়েকজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অন্য কোনো দলের ক্ষেত্রে এ রকম হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প ছিল না
পরবর্তী নিবন্ধবাকলিয়ায় ছুরিকাঘাতে তরুণ খুন