মাস্ক পরায় অনীহা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশের মানুষ

| মঙ্গলবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরাসহ জরুরি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ওপর অনেক বেশি গুরুত্ব আরোপ করছেন। তাঁদের মতে, যাঁরা টিকা নিয়েছেন এবং যাঁরা নেননি- সবাইকেই মাস্ক পরতে হবে। এ ছাড়া বারবার হাত ধোয়া, কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে উল্টোটা। রাস্তাঘাট, হাট-বাজার, হোটেল-রেস্তোরাঁ, শপিং মলসহ জনসমাগমের স্থানগুলোতে দেখা যায়, বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক পরছে না। মাস্ক ছাড়াই গণপরিবহনে মানুষ গাদাগাদি করে চলাচল করছে। এমনকি হাসপাতালে আসা রোগী বা তাদের স্বজনদেরও অনেকেই মাস্ক পরে না। আবার ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতির কারণে অনেকে ব্যাংক-বীমা কিংবা সরকারি-বেসরকারি অফিসে ঢোকার আগে মাস্ক পরে এবং অফিস থেকে বেরিয়েই মাস্ক খুলে ফেলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এমন অনীহার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।অনেক দেশে করোনা মহামারি প্রায় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল। লকডাউন প্রত্যাহার করে রেস্তোরাঁ, বারসহ প্রায় সব বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার সেসব দেশ লকডাউনে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে। টিকা এলেও সব ভেরিয়েন্ট বা ধরনের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। টিকার সরবরাহও খুব কম। অনেক দেশ এখনো টিকাদান কর্মসূচি শুরুই করতে পারেনি। আর টিকা দিলেই কেউ সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়ে গেছে, এমন ভাবারও কারণ নেই। যত দিন করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণে না আসছে, তত দিন সব দেশই সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকবে। তাই মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা আশা করি, মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ক্ষেত্রে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকার আগে যেসব কর্মসূচি চালু করেছিল, তা আবার যথাযথভাবে পালন করা হবে। গণপরিবহন ও জনসমাগমের স্থানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে।
তারেক আল মুনতাছির, শিক্ষার্থী, বিজ্ঞান বিভাগ, ওমরগণি এম.ই.এস কলেজ,চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড : ইতিহাসের এক নির্মম অধ্যায়
পরবর্তী নিবন্ধআর ভালো লাগে না