আর ভালো লাগে না

মিতা দাশ | মঙ্গলবার , ১৩ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

টিভি দেখতে দেখতে আর ভালো লাগে না টিভি দেখতে। শুধু চ্যানেল ঘুরিয়েই চলা। মোবাইল টিপতে টিপতে আর ভালো লাগে না মোবাইল টিপতে, একই সব লাগে। বাসায় থাকতে থাকতে খুব বিরক্ত লাগে, বাসায় আর থাকতে ইচ্ছে করে না। একই বই পড়ালেখা আর মন বসে না পড়ায়, বসতে ইচ্ছে করে না টেবিলে। খেতে খেতে একই খাবার, মুখের স্বাদ চলে গেছে। মন মরা হয়ে থাকতে থাকতে অবসাদ এসে ভর করেছে।এমনই মন্তব্য এসএসসি পরীক্ষার্থীদের। স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীদের কথাও এক। জীবন থেকে সব আনন্দ চলে গেছে। নিয়ে গেছে ছন্দ ও গতি। একই বিষয় বারবার হলে বিরক্ত তো হবার ই কথা, সেজন্যই তো কিছু ভালো লাগেনা। ঘুমাতে ঘুমাতে আর ঘুম আসে না।বন্ধু, আত্মীয় সবার সাথে দেখা না হতে হতে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। বন্ধু ছাড়া, কোন ধরাবাঁধা নিয়ম ছাড়া কি চলা যাই? এখন এই করোনা মানুষের জীবনে কষ্ট এনে দিলো।।এনে দিলো দীর্ঘ সময়ের মানসিক বিপর্যয়তা। কিছুই করতে ভালো লাগে না।এর থেকে বের হওয়ার উপায় কি? কিছু ভালো না লাগার কারণ কিন্তু আমরাই। মন থেকে যখন কোন কিছু চাওয়া হয়, তখন কিন্তু পাওয়া যায় সব। তাই প্রথমেই মনে করতে হবে। সব কিছু স্বাভাবিক। কোন সমস্যাই নাই। আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে ঘুম থেকে উঠে পড়তে বসা। স্কুলের রুটিন অনুযায়ী এক একটা বই টিচার পড়াচ্ছে মনে করে নিজেই পড়ে ফেলা।এরপর যার যেটা গুণ বা প্রতিভা আছে তা চর্চা করা। কেউ গান, কেউ নাচ, কেউ ছবি আঁকা, কেউবা আবৃত্তি করা। নিজের জানাগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করা এই অবসরে উত্তম সময়। এছাড়াও ঘরে ইনডোর গেইম খেলা, ছাদে হাঁটাহাঁটি করা, বাগান করা, গাছ লাগানো।
এভাবে নিজেকে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখা। আসলে আমরা অন্যের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হই, সেটা না করা। ভালো কাজে নিজেকে নিয়োগ রেখে এগিয়ে যাওয়া সময়ের সাথে সাথে। কে লাইক দিলো, বা কতজন দিলো তার উপর কখনো কোন লেখা, গান, নাচ নির্ভর করে না, এটা মনে রাখতে হবে। শুধু নিজের ও দশের ভালো ভেবে কাজ করে যেতে হবে। ভালো থাকার প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে নিজেকে খুশি রাখা। আর সময়ের কাজ সময়ে করে রাখা। আসুন সবাই আমরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি। নিরাপদ থাকি ও দূরত্ব বজায় রেখে সুস্থ থাকার ব্যবস্থা করি। বারবার হাত ধুয়ে রোগ থেকে নিজেকে বাঁচায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাস্ক পরায় অনীহা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে বাংলাদেশের মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের মূল্য