মাস্কের সংস্পর্শে এলেই মারা যাবে জীবাণু!

| রবিবার , ২৫ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৪৭ পূর্বাহ্ণ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সারা বিশ্বকে। এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক, পিপিই, সঠিক জীবাণু মুক্তিকরণ ছাড়া কোনো উপায়ও নেই। এই অবস্থায় এমন এক মাস্ক তৈরি করলেন একদল গবেষক যা শুধুমাত্র ভাইরাসকে শরীরে প্রবেশের থেকে আটকাতে সাহায্যই করে না, মাস্কের উপর চলে আসা ভাইরাসকে মেরেও ফেলে। সারা বিশ্বের কাছেই এই গবেষণা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে চলেছে বলে দাবি করলেন ভারতের আইআইটি মান্ডির এক দল গবেষক। সমপ্রতি আমেরিকার একটি জার্নাল ‘আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি- অ্যাপ্লায়েড মেটেরিয়ালস অ্যান্ড ইন্টারফেসেস’-এ প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা।
কী উপাদান দিয়ে তৈরি এই মাস্ক? এটা কী ভাবে কাজ করে? মলিবডেনাম ডাইসালফাইড নামের একটি বিশেষ উপাদান দিয়ে একটি চুলের থেকেও কয়েক গুণ পাতলা একটি আস্তরণ তৈরি করা হয়েছে। যা মাস্কের উপরে লাগিয়ে দিচ্ছেন গবেষকরা।গবেষকরা জানিয়েছেন, মলিবডেনাম ডাইসালফাইডের ওই আস্তরণ জীবাণু নাশে দু’রকম ভাবে কাজ করে। এর উপরিতল অত্যন্ত ধারালো। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রের তলায় দেখলে মনে হবে ঠিক যেন অনেকগুলি ছুরি পর পর রাখা রয়েছে। সূর্যের আলোয় অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে এই উপাদান। কিছু ক্ষণ সূর্যালোকে থাকলেই ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত এর তাপমাত্রা হয়ে যায়। যা অনেক জীবাণুকেই বাঁচতে দেয় না। মাস্কের উপর থাকা কোভিড ১৯-কে মেরে ফেলার জন্য নিশ্চিন্ত হয়ে একাধিক বার ব্যবহার করা যেতে পারে এই মাস্ক। আবার সহজেই শুধুমাত্র রোদে ফেলে রেখে জীবাণুমুক্তও করা যায়।এই উপাদানের আরও একটি বিশেষত্ব হল বারবার সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করলেও এর কার্যকারিতার কোনও হেরফের হয় না। এই উপাদান পরে শ্বাস নিতেও কোনও কষ্ট হবে না বলেও দাবি করেছেন তারা।এর সঠিক ব্যবহারে মাস্কের সংস্পর্শে আসা ৯০ শতাংশেরও বেশি জীবাণু ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এর।এর দাম আকাশছোঁয়া হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ওই গবেষকেরা। বলেছেন, মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে দাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅক্সিজেন সরবরাহে কেউ বাধা দিলে ফাঁসি দেব
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ শেষ কুমারার