মার্টিন লিংগস : লেখক ও গবেষক

| বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

মার্টিন লিংগস। যার ইসলামিক নাম আবু বক্কর সিরাজুদ্দিন, তিনি একজন পশ্চিমা লেখক, শিক্ষাবিদ ও ফ্রিটজফ শুয়ানের শিষ্য ও শেক্সপিয়র বিষয়ে বিজ্ঞ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোহাম্মদ: হিজ লাইফ বেইসড অন দ্যা আর্লিয়ার সোর্স নামের একটি ব্যাপক জনপ্রিয় ও বহুল পঠিত জীবনী লেখক হিসাবেই সমধিক পরিচিত। তিনি ১৯০৯ সালের ২৪ জানুয়ারি লিংগস ম্যানচেষ্টারের বুরনেইজ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের প্রারম্ভেই তরুণ লিংগস দেশ ভ্রমণে অভ্যাস আপ্ত করেন, তার বাবার কর্ম সূত্রে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য সময় অতিবাহিত করেন। লিংগস ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন পর্যন্ত যথাক্রমে ক্লিফটন কলেজ, ম্যাগডালেন কলেজ এবং অক্সফোর্ডে পড়াশুনা করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর লিংগস চলেযান লিখুয়্যানিয়ার ভিয়্যাউতাস ম্যাগনাস বিশ্ববিদ্যালয়ে। লিংগস ১৯৩৯ সালে মিশরের কায়রোতে তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে যান, তিনি সেখানে আরবী ভাষা শিক্ষায় মনোনিবেশ করেন। কায়রোতে এক যুগের অধিক সময় বসবাস কালে তিনি কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষার শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন এবং শেকসপিয়ার বিরচিত নাটকের বাৎসরিক পরিবেশনার আয়োজন করতে থাকেন। ১৯৪০ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যে ফেরার সাথে সাথেই স্কুল অব আরিজিনাল আফ্রিকান ষ্ট্যাডিজ (ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন) হতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

সম্মানোত্তর গবেষণায় আফ্রিকান সুফি আহমেদ আল আলাউয়্যির বিষয়ে করা তার ডক্টরাল থিসিসটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পায়। তিনি ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর ব্রিটিশ মিউজিয়ামে যোগ দেন এবং তৎপরবর্তীতে প্রথমে পাণ্ডুলিপি এবং অন্যান্য পাঠসংক্রান্ত কাজ তত্ত্বাবধান এর পরে ছাপা বই ও পাণ্ডুলিপি সংরক্ষক হিসাবে ১৯৭০-১৯৭৩ এ পদোন্নতি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি নানাবিধ ধর্মীয় বিষয়াদী নিয়ে নিয়মিত গণমাধ্যমে লেখালেখি করতেন।

এ লেখালেখি লিংগসের জীবনের শেষ এক তৃতীয়াংশে ব্যাপকতা লাভ করে। যদিও আহমেদ আল আলাউয়্যির বিষয়ে করা তার গবেষণাপত্রটি বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছিল তথাপি ১৯৮৩ সালে লিখিত মোহাম্মদ এর জীবনী: প্রারম্ভিক যুগের তথ্যের ভিত্তিতে তার জীবন এ বইটির জন্য পাকিস্তান এবং মিশর সরকার থেকে পুরস্কার লাভের পাশাপাশি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রশংসিত হন। ২০০৫ সালের ১২ মে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধসড়ক দুর্ঘটনা থেকে পরিত্রাণ চাই