মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি

| মঙ্গলবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:২০ পূর্বাহ্ণ

দেশে মানুষ বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে বেকারত্ব। বেকারত্বের অবসান ঘটিয়ে একটু সুখের আশায় তরুণরা বিদেশে পাড়ি দেয়ার স্বপ্ন দেখে। আর এই সুযোগে আদম বেপারীরা তরুণদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠায়। সম্প্রতি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার ব্যাপারে তরুণদের আগ্রহ বেড়েছে। এই আগ্রহকে পুঁজি করে ভুয়া ভিসা, ওয়ার্কপারমিট ইত্যাদি দেখিয়ে তরুণদের ফাঁদে ফেলে আদম বেপারী চক্র। এরপর নানা কৌশলে তরুণদের কাছ থেকে ওরা সর্বস্ব কেড়ে নেয়। প্রথমে তরুণদের পাঠানো হয় ভারতে। এরপর সেখান থেকে পাঠানো হয় ইউরোপের কোনো না কোনো দেশে। আর এ জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিলে তাদের উপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। এমনি ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে। নির্যাতিত ও প্রতারিত তরুণদের বর্ণনা শুনে আমরা শিহরিত হই, চোখের পানি ফেলি। সর্বস্ব খুইয়ে দেশে এসে তরুণদের কেউ কেউ মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। পুলিশ কিছু অপরাধীকে আইনের আওতায় আনে। কিন্তু অনেক অপরাধীই থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। জানা গেছে এখনো বাংলাদেশী বহু তরুণ ভারতের বিভিন্ন শহরে পাচারকারীদের কাছে জিম্মি। ওদের কাছে না আছে অর্থ, না আছে খাওয়া, ঘুম এবং না আছে জীবনের নিরাপত্তা। একটু সুখের আশায় বিদেশে পাড়ি জমানো এসব তরুণ এখন ধুঁকে ধুঁকে মরছে। এই ভাগ্যাহত তরুণদের জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারসহ দেশিবিদেশি মানব পাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো জরুরি।

এম..গফুর,

বলুয়ারদীঘির দক্ষিণপশ্চিম পাড়,

কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : অপরাজেয় কথাশিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধসুখী হতে কে না চায়?