মানবিক দিক বিবেচনায়

খালেদা লিপি | রবিবার , ৩ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

আবার এলো আত্মশুদ্ধির মাস, সংযমের মাস।এই মাস এলেই মানুষের আত্মা কেমন যেনো নরম, কোমল হয়ে যায়। ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানুষগুলোর মধ্যেও আল্লাহর অশেষ রহমতের ছায়া দেখা যায়।যদিও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যায়, মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে সত্তর ভাগ মানুষের খুব কষ্ট হয়।তবুও কেন যেনো পৃথিবীতে একটা শান্তি শান্তি ভাব আসে। উপরোক্ত কথাগুলো আসলে ভূমিকা মাত্র।
মূল যে কথাটা বলতে চাই তা হলো, রমজানের তারাবির নামাজ। খতম তারাবী বা সূরা তারাবী যাই পড়া হোক না কেন এক ঘন্টার উপর লেগে যায় এই নামাজ শেষ করতে। আমরা যারা রোগি হয়ে ডাক্তারের কাছে যাই এই রোজার সময় তখন সকল ডাক্তারগণ এশার পর তারাবীর নামাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যান এবং নামাজ আদায় করতে চলে যান। এটা নিশ্চয়ই ভালো। জামাতে নামাজ আদায় করা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। কিন্তু চেম্বারের সামনে রোগী তখন ছটফট করতে থাকেন। অসহায় হয়ে কাতরাতে থাকেন তখন বিষয়টা বড়ই বেদনাদায়ক হয়ে যায়। আমিও ভুক্তভোগী এবং এই দৃশ্য খুবই অসহ্য। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় যারা সেবা মূলক কাজে নিয়োজিত আছেন তারা অবশ্যই এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন। তারাবী নামাজ সারারাতই পড়া যায়। রোগী চেম্বারের সামনে বসিয়ে কষ্ট দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ সম্ভব নয়। স্রষ্টার সৃষ্টির জন্য যার মন কাঁদে না তার হৃদয় স্রষ্টার জন্য যতোই কাঁদুক স্রষ্টা তাতে সাড়া দিবেন বলে মনে করি না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোজার মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে