কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদী, বিভিন্ন ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং ফসলি জমির টপ সয়েল কাটার বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কোন কোন এলাকায় বালু খেকোদের অপতৎপরতা চলছে সেই তালিকা ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই অভিযান চলমান রয়েছে।
আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ইউএনও এবং এসিল্যান্ড পৃথকভাবে এই অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এতে মাতামুহুরী নদীসহ বিভিন্ন ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জড়িতদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গেল জানুয়ারি মাসের প্রথমদিন থেকে এই অভিযান শুরু হলেও মাঝখানে দাপ্তরিক কাজের চাপের কারণে অভিযান স্থিমিত ছিল। তবে চলতি মাসের শুরু থেকে প্রতিদিনই অব্যাহতভাবে চলছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। সূত্রানুযায়ী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ইউএনও জেপি দেওয়ান এবং এসি ল্যান্ড মো. রাহাত উজ–জামানের নেতৃত্বে সর্বশেষ সাঁড়াশি অভিযানে বালুখেকো দুইজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তম্মধ্যে একজনকে একমাস ও অপরজনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়াও অবৈধ বালু উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা দিয়ে ৯ লাখ ২২ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অপরদিকে জব্দের পর ধ্বংস করা হয়েছে বালু তোলায় ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ শ্যালো মেশিন, একাধিক ড্রেজার, বিপুল পরিমাণ পাইপ।
এই বিষয়ে ইউএনও জেপি দেওয়ান এবং এসি ল্যান্ড মো. রাহাত উজ–জামান দৈনিক আজাদীকে বলেন, মাতামুহুরী নদীসহ বিভিন্ন ছড়াখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ৪(ঘ) ও (গ) ধারায় উপজেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থান অব্যাহতভাবে চলবে। যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, কাউকে পরিবেশ বিধ্বংসী কাজ করতে দেওয়া হবে না।