বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারের নেতৃত্বে শহীদ মিনার চত্বর থেকে এক র্যালি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হলে উপাচার্য ও উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) বেলুন– ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে নারী দিবস উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। রিসোর্স পার্সন ছিলেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান এর ডাইরেক্টর অব এডমিশনস রেহানা আলম খান, প্রফেসর ডা. সাহানারা চৌধুরী এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট শামীমা ফেরদৌস মিলি।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. নাজনীন নাহার ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লাইলুন নাহার। রিসোর্স পার্সনবৃন্দের জীবনী পাঠ করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শারমিন মুস্তারী, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শারমিন সুলতানা, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সোনম আকতার এবং মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তানিয়া করিম।
উপাচার্য বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্ব ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, দেশকে স্বনির্ভর এবং আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণে সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন পুরুষশাসিত সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, সমাজে নারী–পুরুষ বৈষম্য দূরীকরণ, কর্মক্ষেত্রে সমঅধিকার, মতামত প্রদানের স্বাধীনতা, নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয়ে নারীরা পূর্বের চেয়ে এখন অধিক সচেতন।
তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়া নারী জনগোষ্ঠীকে মূল ধারার সাথে সম্পৃক্ত করতে হলে ডিজিটাল প্রযুক্তির ঠিক ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।