মহান স্বাধীনতার চেতনা সমুন্নত রাখার প্রত্যয়

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম নগরীতে মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে অস্থায়ী শহীদ মিনারের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উত্তর কাট্টলীতে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করেছে চট্টগ্রামবাসী। তাঁদের কণ্ঠে ছিল মহান স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রাখার প্রত্যয়। মঙ্গলবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে অস্থায়ী শহীদ মিনার ও উত্তর কাট্টলীতে বানানো অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

নগরীতে এবার স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি রাখা হয় দুটি ভিন্ন স্থানে। সকালে মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে সিটি কর্পোরেশন। আর উত্তর কাট্টলীতে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে কর্মসূচি রাখে জেলা প্রশাসন। মিউনিসিপ্যাল স্কুল প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ভূমিকা থাকলেও পর্যাপ্ত গবেষণা ও প্রচারের অভাবে জনগণের কাছে পৌঁছায়নি। মেয়রের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বোধন, প্রমা, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল নিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। এর আগে সোমবার গভীর রাতে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় নগর আওয়ামী লীগ।

মঙ্গলবার ভোরে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের কর্মসূচি শুরু হয়। উত্তর কাট্টলীতে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীরা শ্রদ্ধা জানান। অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দও শ্রদ্ধা জানান।

এরপর নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের অন্যান্য আয়োজন শুরু হয়। সেখানে কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ। কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, আনসার ভিডিপি, কারারক্ষী এবং স্কাউটসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। এরপর শুরু হয় স্বাধীনতা দিবসের প্রদর্শনী। মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনীতে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে স্বাধীনতা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, আজ থেকে ৫৩ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। গৌরবময় লাল সবুজের পতাকা বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বে বাঙালির শাশ্বত অর্জনকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। সেই থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৩ কোটি ৩ টাকায় ৫০০ একর জমি পেল চট্টগ্রাম বন্দর
পরবর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় অস্ত্রের মুখে খামারির ৯টি গরু লুট মারধরে আহত কর্মচারী