মশায় অতিষ্ঠ জনজীবন : চাই জরুরি পদক্ষেপ

| শুক্রবার , ৫ মার্চ, ২০২১ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

আমাদের দেশে শীতকালীন মৌসুম বিদায় নিয়ে,গ্রীষ্মের মৌসুম শুরু হয়েছে। সেই সাথে মশার উপদ্রবও বৃদ্ধি পাচ্ছে । গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে শহরের আনাচে-কানাচে। মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ার অগ্রণী কারণ হলো ময়লা-আবর্জনা কোনো নির্দিষ্ট এক জায়গায় না রেখে, যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা। মশা এক যন্ত্রণাদায়ক পতঙ্গের নাম। মশার কারণে কোনো এক জায়গায় শান্তভাবে বসা যায় না, শোয়া যায় না। এমনকি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে না। মশার কামড় থেকে ত্বকে সমস্যা হয়। মশার কামড়ের পরে বড় নখ দিয়ে চুলকালে ত্বকে ঘা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য আমাদের নখ ছোট কেটে ছোট রাখতে হবে। মশার কামড় অনেক সময় মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে সব মশার কারণে মৃত্যু হয় না। পৃথিবীতে ৩৫০০ এর বেশি প্রজাতির মশা রয়েছে । কিছু প্রজাতির মশা রয়েছে নিয়মিত মানুষের রক্ত শোষণ করে, কিছু প্রজাতির নিয়মিত শোষণ করে না কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর রক্ত শোষণ করে। রক্ত শোষণকারী প্রজাতির মধ্যে শুধু নারী প্রজাতিরাই রক্ত শোষণ করে। মানুষকে যে-সব মশা কামড়ায় তাদের বৈজ্ঞানিক নাম হলো : ঈঁষরংবঃধ ষড়হমরধৎবড়ষধঃধ.
মশার কামড়ে ফলে চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুজ্বর, পীতজ্বর ইত্যাদি হতে পারে। এজন্য আমাদের সতর্ক হতে হবে। ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। কয়েল ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের ব্যাপারে সবার সতর্ক হতে হবে। ঘরের মধ্যে মশার উপদ্রব কমাতে চাইলে, ঘরের মধ্যে হলুদ বাতি জ্বালাতে হবে। কারণ মশা হলুদ আলো থেকে দূরে থাকতে চায়। হলুদ বাতি ঘরে-বাইরে জ্বালালে মশাদের আক্রমণ থেকে অনেকটাই বাঁচা যাবে। মশাদের পছন্দের রঙ হলো: লাল, নীল আর কালো। এজন্য এ-সব রঙের কাপড় পরিধান থেকে দূরে থাকতে হবে। পরিশেষে বলতে চাই, মশা দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে। সেই সাথে আমাদের সচেতনতার বিকল্প কিছু নেই । সচেতনতার দ্বারাই আমরা মশার অতিষ্ঠ থেকে মুক্তি পাবো।
মো.আল-আমিন, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহুগো শ্যাভেজ : সাম্যবাদের আদর্শ
পরবর্তী নিবন্ধইতিহাসের পাঠ : কিভাবে বঙ্গবন্ধু হলেন জাতির পিতা