মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে চাই

নুসরাত সুলতানা | শনিবার , ২ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

শীত যেতে না যেতেই আমাদের শহরে মশার উপদ্রব ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে গেছে। এদিকে চৈত্রের কাঠফাটা প্রচণ্ড গরমে একেবারে হাঁস-ফাঁস অবস্থা মানুষের। এই গরমে দরজা-জানালা বন্ধ করে বাসায় থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু দরজা জানালা খোলা রাখলেই মশার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হতে হচ্ছে পুরো পরিবারের সবাইকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এমন কোনো সময় নেই যে মশা মানুষকে বিরক্ত করছে না। মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেও মশার উপদ্রব থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না পরিবারের সদস্যদের। মশার জ্বালায় সন্তানেরা ঠিকভাবে পড়াশোনায় মনোযোগী হতে পারছে না।
আমাদের এলাকায় নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম চলতে থাকে, ওষুধপত্র ছিটানো হয়, গাছপালা ছাঁটানো হয়। কিন্তু পুরো শহরের এই বেহাল অবস্থার কারণে আমাদের এলাকাতে নিয়মিত মশা নিধন কার্যক্রম চালিয়েও মশার বংশ ধ্বংস করা যাচ্ছে না, একদিন মশা কমেতো দুই দিন পর আবারো বেড়ে যায়। পুরো শহর থেকে মশার বিস্তার রোধ করতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এতে মশার উপদ্রব পুরোপুরি নির্মূল করা না গেলেও কিছুটা স্বস্তি অন্তত মানুষ পাবে।
বিগত বছরগুলোতে করোনার ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বাঁচার জন্য সবদিকে বিভিন্ন রকমের ওষুধ-পত্র ছিটানো হয়েছিলো, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পুরো শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার করা হয়েছিলো, সে কারণেই হয়তো মশার উপদ্রব কিছুটা কম ছিলো। কিন্তু এ বছর মশার যন্ত্রণা এতোাঁই বেড়ে গেছে মশার জ্বালায় ঘরে যেমন থাকা যাচ্ছে না, তেমনি বাইরে গিয়ে দশটা মিনিট বসা তো দূরে থাক দাঁড়ানোও যাচ্ছে না। শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে কোথাও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না। মশার যন্ত্রণায় শহরে কোনো একটা পার্কে গিয়ে বসা যাচ্ছে না, সমুদ্রের পাড়ে নির্মল বাতাস কিন্তু মশার কামড়ের জ্বালায় সেটাও উপভোগ করা যাচ্ছে না। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। যে হারে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে এখনই প্রতিকারের ব্যবস্থা করা না হলে সামনে বর্ষার দিনগুলোতে মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া অনেক বেশি বেড়ে যাবে যা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএখান থেকেই জীবনের শুরু
পরবর্তী নিবন্ধঅটিজম কোনো রোগ নয়, এটি জন্মগত স্নায়ুবিক দুর্বলতা