ভয়ে নিম্নআয়ের মানুষ

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সপ্তাহব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণ ভীতির চেয়ে বেশি ভয় কাজ হারানোর। আবারও আয় কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া নিয়ে শঙ্কিত তারা। করোনার প্রথম ধাক্কায় দেওয়া লকডাউনের কথা ভোলেনি সাধারণ মানুষ। সদ্য ঘোষিত লকডাউন নিয়ে কি ভাবছেন তারা?
জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, কলকারখানা খোলা থাকলে জনসমাগম হবে। এতে করোনা ছড়াবে না? গণপরিবহনে আসা-যাওয়ায় করোনা ছড়াবে না? বাজার-সদাই করতে গিয়ে করোনা ছড়াবে না? গত বছর করোনায় আমরা অনেক নিয়মকানুন দেখেছি। এতে লাভ হয়েছে মুনাফাখোরদের, আর মরেছে গরীব মানুষ। এবারও তাই হবে। সরেজমিনে রেয়াজউদ্দিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের আনাগোনার কমতি নেই। লকডাউন হবে জেনে যে যা পারেন কিনে নিচ্ছেন।
দোকানে-দোকানে কথা একটাই; করোনা না বাড়ার জন্য সরকার লকডাউন দিচ্ছে, এতে আপত্তি নেই তাদের। কিন্তু এর চাপটা পড়বে কর্মক্ষেত্রে। হতে হবে ছাঁটাই কিংবা বেতন হবে অর্ধেক।
রিকশাচালক মো. হারুন (৪০) গত বছর নারায়ণগঞ্জে পোশাক শ্রমিক ছিলেন। সে বছরের মার্চে দেশে সাধারণ ছুটি হলে তিনি চাকরি হারান। পরে, জুনের দিকে চট্টগ্রামে চলে আসেন। তিনি বলেন, গত বছর থেকে রিকশা চালাচ্ছি। আবারও করোনা বাড়ছে। লোকজনের বের হওয়া কমে যাওয়ায় আয় কমতে শুরু করেছে। লকডাউনে মনে হয় না খেয়ে মরতে হবে।
পোশাক শ্রমিক আমেনা খাতুন জানান, গত বছর করোনার কারণে তার মতো অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এ বছর করোনার কারণে কাজ হারালে, আবারও তাদের উচ্চ সুদে ঋণ করে পরিবার চালাতে হবে।
তবে ডা. শান্তনু বিশ্বাস মনে করেন, এক সপ্তাহের লকডাউন নয়, তিন সপ্তাহের পরিকল্পিত কারফিউ প্রয়োজন। তা হলে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এন্টিবডি তৈরির সময় পাওয়া যাবে। হাসপাতালে রোগী কমবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাটকা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার বদ্ধপরিকর : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ