ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার সুযোগ চান

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগামীকাল থেকে সাতদিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এ ঘোষণার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন শপিংমল-মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। সরকারের কাছে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ব্যবসা করার সুযোগ চেয়েছেন তারা। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ঈদবাজার প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো। গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংক ঋণ নিয়ে পণ্য তুলেছেন। কিন্তু সরকার হঠাৎ আবারও লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় চিন্তার মধ্যে পড়েছেন তারা। টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান আজাদীকে বলেন, গত বছর আমরা দোকানপাট খুলতে নিরুৎসাহিত করেছি। কিন্তু এখন আমরা পারছি না। ইতোমধ্যে প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে ফেলেছি। এই মুহূর্তে যদি আমরা ব্যবসা করতে না পারি, তাহলে না খেয়ে মারা যাব।
বিপণী বিতান ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সগীর বলেন, আমাদের একটাই কথা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হোক। গত বছর করোনার কারণে মার্কেট বন্ধ ছিল। এ কারণে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা অনেক কষ্ট করে সেই সময় কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি। আমরা নিজেরা না বাঁচলে কর্মচারীদের কিভাবে বাঁচাবো?
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফজলুল আমিন বলেন, গত বছর করোনার কারণে আমরা ঈদ বাজার হারিয়েছি। এ বছর তাই আশায় বুক বেঁধেছিলাম। কিন্তু নতুন করে লকডাউনের খপ্পরে পড়লে আমাদের পথে বসতে হবে। জীবন ও জীবিকা দুটোই বাঁচানো প্রয়োজন।
সানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার। তিনি বলেন, লকডাউনের খবরের পর থেকে অনেক ব্যবসায়ী কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছেন। গত বছর মার্কেট বন্ধ হয়েছিল শবে বরাতের আগে। তখন আমরা নতুন করে তেমন কাপড় আনিনি। কিন্তু এবার নতুন নতুন কালেকশন এনেছি। ফলে এ বছর ব্যবসা করতে না পারলে ক্ষতির অংকটা গত বছরের চেয়ে বেশি হবে। আমাদের কথা হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি গার্মেন্টস ও কলকারখানা খোলা রাখা যায়, তাহলে মার্কেটের সমস্যা কোথায়? তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যবসা করার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভয়ে নিম্নআয়ের মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা