ভোর থেকে অপেক্ষা, দীর্ঘ লাইন

নগরে ৩৩ পয়েন্টে চাল ও ১৯ পয়েন্টে চলছে ওএমএসের আটা বিক্রি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

চালের বাজার স্থিতিশীলতা রাখতে সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও খোলা বাজারে ৩৩টি পয়েন্টে প্রতিদিন সাড়ে ৫৬ মেট্রিক টন চাল এবং ১৯টি পয়েন্টে ১৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রতিদিন নগরীতে সাড়ে ১১ হাজার ক্রেতার মাঝে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি করে ৫৬ মেট্রিক টন চাল এবং ১৯টি পয়েন্টে প্রায় ৪ হাজার ক্রেতার মাঝে ২৪ টাকা দামে ৫ কেজি করে ১৯ মেট্রিক টন আটা বিক্রি করছে জেলা খাদ্য অধিদপ্তর।
এদিকে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ৮শ’ জন ক্রেতা মাঝে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি করে ৫৪ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

নগরী ও জেলায় প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও আটা বিক্রি করা হলেও কিছু কিছু পয়েন্টে দেখা যাচ্ছে চাল ও আটার পরিমাণ থেকে ক্রেতা বেশি। ট্রাকের পয়েন্টগুলোতে সকাল থেকে সাধারণ ক্রেতাদের দীর্ঘ ভীড়।

চালের এবং আটার বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় যে চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকায় ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হচ্ছে সেই চাল খোলা বাজারে প্রতি কেজি ৬০ টাকা। অপর দিকে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ২৪ টাকার আটা খোলা বাজারে ৬৩ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার মূল্য থেকে অর্ধেক দামে ভালো মানের চাল ও আটা ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করায় ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে বলে জানান ডিলাররা।

সরেজমিনে নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে গিয়ে দেখা গেছে, খাদ্য অধিদপ্তরের খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির চাল ও আটা কিনতে মানুষ সেই ভোর থেকে অপেক্ষা শুরু করে। দিনদিন সরকারের এই ন্যায্যমূল্যের চাল ও আটা কিনতে খোলা ট্রাক গুলোর সামনে গরীব-সাধারণ মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ৩০ টাকা কেজির চাল এবং ২৪ টাকা কেজির আটা কিনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে মানুষ। প্রতিটি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন (২ হাজার কেজি) চাল বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা ৫ কেজি করে চাল নিলে প্রতি ট্রাক থেকে ৪শ’জন ক্রেতা চাল পাচ্ছেন। তারপরও কিছু কিছু মানুষকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। এছাড়া ডিলারের দোকান থেকেও ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকায় ৫ কেজি আটা কিনতে পারছেন।

এই ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ন্যায্যমূল্যের বিশেষ ওএমএসের চাল এবং আটা বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় প্রতিদিন নগরীতে ১৪টি ট্রাকের মাধ্যমে ২৮ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাকে ২ মেট্রিক টন করে। পাশাপাশি আমাদের নির্ধারিত ডিলারের মাধ্যমে নগরীর ১৯টি পয়েন্টে দোকানে দেড় মেট্রিক টন করে চাল এবং ১ মেট্রিক টন করে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। একজন ক্রেতা খোলা ট্রাক থেকে ৩০ টাকা দামে ৫ কেজি চাল কিনতে পারছেন।

এছাড়া ডিলারের দোকান থেকে ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকায় ৫ কেজি আটা কিনতে পারছেন। এই কার্যক্রম আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এরপর আবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এই কর্মসূচি বাড়ানো হবে কিনা। একই কর্মসূচি পৌরসভা এবং উপজেলাগুলোতেও চলমান আছে। ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় নগরীর ১৪টি পয়েন্টে ট্রাকে করে এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আরও ১৯টি পয়েন্টে ডিলারের মাধ্যমে চলছে এ কার্যক্রম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৬৮৩৯০ শিক্ষক নিয়োগ দিতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
পরবর্তী নিবন্ধনতুন আকর্ষণ চার উট পাখি