ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি নরসিংদীতে একজনের মৃত্যুর খবর, কয়েক পরিবারে আহাজারি

| রবিবার , ২৫ জুন, ২০২৩ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে লিবিয়া হয়ে সমুদ্র পথে ইতালি যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নরসিংদীর এক যুবক মারা গেছেনএমন খবর পেয়েছে তার পরিবার।

রায়পুরা উপজেলার উত্তর বাখরনগর ইউনিয়নের বড়চর গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুল নবীর (২২) মৃত্যুর খবর তার পরিবারে আসার পর জেলার অন্তত সাতটি পরিবারে আহাজারি শুরু হয়েছে। কারণ এসব পরিবারের সদস্যরাও দালালের মাধ্যমে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন। যেহেতু তারা অবৈধভাবে বিদেশ গিয়েছেন ফলে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশের কাছে তাদের ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। এ নিয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি বা তথ্য জানায়নি। খবর বিডিনিউজের।

আব্দুল নবীর মৃত্যুর খবর পেলেও ঠিক কবে দুর্ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো তথ্য পায়নি পরিবার। নবীর বড় ভাই শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক লিবিয়া প্রবাসী তাদের টেলিফোন করে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানান। সেখান থেকেই তারা জানতে পারেন যে, আব্দুল নবীর মরদেহ লিবিয়ার একটি হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে। কয়েক মাস আগে নবী ইতালি যাওয়ার জন্য দেশ ছাড়লেও প্রায় এক মাস ধরে ভাইয়ের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না বলে জানান মাহ আলম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একইভাবে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বেলাব উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের টান লক্ষ্মীপুর ও চর লক্ষ্মীপুর এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে সৈকত (২০), রহিম মিয়ার ছেলে আবু তাহের (২৭), রতন মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম (১৯), আউয়াল মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (১৮), ওবায়দুল্লাহর ছেলে রহমত উল্লাহ (২০), মোক্তার হোসেনের ছেলে জিহাদ (১৯) এবং কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার বড় ছয়সূতি এলাকার বাছেদ মিয়ার ছেলে স্বপনের (২৭)। এদের মধ্যে অন্তত দুইজনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন সাংবাদিকরা। তারা জানিয়েছেন, তাদের সন্তান কয়েক মাস আগে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা খরচ করে ‘দালাল চক্রে’র মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। যে দালালের মাধ্যমে তারা দেশ ছেড়েছিলেন; তিনিও নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি পরিবারের। তবে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, নিখোঁজের সংখ্যা আরও বেশি হবে।

দালাল আলম মিয়া টান লক্ষ্মীপুর এলাকার মনা মিয়ার ছেলে। তার বাড়িতে প্রতিদিন আসছেন নিখোঁজদের স্বজনরা। তবে আলমের মা রেহেনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, এক মাস ধরে আলমের সঙ্গেও পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। আলম মিয়াও নিখোঁজদের সঙ্গে হয়ত একই নৌকায় ছিলেন। ফলে তার পরিবারেও চলছে আহাজারি।

তবে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য নেই পুলিশের কাছে। নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অনির্বাণ চৌধূরী বলেন, অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত ও নিখোঁজ হওয়ার খবরটি আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনছি, সরকারিভাবে কোনো তথ্য নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা ও শিশু হাসপাতালের বার্ষিক সাধারণ সভা
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ উচ্চ মর্যাদায় আসীন