ভূগোলের গোল

ডাঃ কিউ এম অহিদুল আলম | মঙ্গলবার , ২ নভেম্বর, ২০২১ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

সামপ্রদায়িকতা : রাজনৈতিক ও সামাজিক

সামপ্রদায়িকতা সম্বন্ধে আমাদের মত আনকোরা লোক লিখতে গেলে ভয় হয়। কে জানি কি ভাবে! আবার সামপ্রতিক সময়ে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে যে প্রত্যেক সচেতন নাগরিকরা সমস্যার উত্তরণের উপায় চিন্তা করে সমাজকে ও রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারকদের জানান দেয়া আবশ্যক।
পৃথিবীর বহু দেশে যে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয় তা কমই ধর্মীয় কারণে, গোষ্ঠীগত, জাতিগত, বর্ণগত ও রাজনৈতিকভাবে অবদমনের কারণেই হয়। আফ্রিকায় গোষ্ঠীগত কারণে দাঙ্গা সাংবাৎসরিক ঘটনা। আইরিশরা আর ব্রিটিশ দাঙ্গা আমেরিকা ইউরোপে স্থানীয়-অভিবাসী দাঙ্গা প্রতিনিয়ত হয়। একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত পাকিস্তান শ্রীলংকা ও বাংলাদেশে ধর্মীয় কারণে দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয়। আইন, আন্তঃধর্মীয় আলাপ সবগুলো দেশেই চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
উপমহাদেশে ধর্মীয় হাঙ্গামা সুস্পষ্টভাবে শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। তাদেরও দোষ নেই। তারা দেশ শাসন করতে গিয়ে দেখে যে অভিজাত ও শোষিত বলেন বা ধনী-দরিদ্র এই দুটো গ্রুপ নিয়ে শাসন করতে হবে। ধনীরা উচ্চবর্ণীয় রাজা, মহারাজা দরিদ্ররা সব হয়তো মুসলিম নয়তো নিম্নবর্ণের হিন্দু। মূলত প্রথমদিকে অর্থনৈতিক অগ্রসরতা থেকে দুই জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় বিভাজন ছিল। পাল সেন বংশ অনেকদিন বঙ্গদেশ শাসন করেছেন। তার পরেই আসে মুসলিম শাসকরা। এই দীর্ঘ সময়ে ধর্মীয় সহিংসতার উল্লেখযোগ্য বিবরণ পাওয়া যায় না। একক বাঙালি জাতির উন্মেষ ঘটায় কিন্তু মুসলিম সুলতানরা অনেকে হয়তো জানেন না সরকারিভাবে বাংলা ভাষা চালু ও পৃষ্ঠপোষকতা হয় সুলতানি আমলে। সুফিবাদের প্রসার ঘটায় বাংলায় হিন্দু-বৌদ্ধ মুসলিমদের মধ্যে ধর্মীয় সহিষ্ণুতার বিস্তার দেখা দেয়।
বাংলা তথা ভারতে মুসলিম অনুপ্রবেশে তিনটি স্তর দেখা যায় : ১) conflict প্রাথমিক বিরোধ ও শঙ্কা। ২) Mutual appreciation- পারস্পরিক জানাশোনা ও অনুধাবন। ৩) Assimilation-আত্মীয় করণ। এই আত্মীয়করণের যুগ প্রায় চারশ বছর স্থায়ী ছিল। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্য, মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব সাহিত্য, আতর বাতির পাঁচালী, পূর্ববঙ্গ গীতিকা ইত্যাদি গ্রন্থে হিন্দু-মুসলিমের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও বিশ্বাসীদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, আনন্দবোধ-তা কোন রাষ্ট্রীয় আইনী বাধ্যবাধকতা দিয়ে হয়নি। পরস্পরকে জানার মাধ্যমে হয়েছে, কৃষ্ণ দাসের শীতলা মঙ্গল, কমলা মঙ্গল (১৭ শতাব্দি), ফয়জুল্লাহ রচিত (১৯ শতাব্দি) সত্য পীর পাঁচালী গ্রন্থের, বন্দনায় (মুখ বন্ধ) হিন্দু দেবতার আশীর্বাদ কামনা (উত্তর-পূর্ব পার্বত্য বিশ্ববিদ্যালয় শিলং ভারত প্রকাশনা ২০১৮) হিন্দু মুসলিম সমপ্রীতি ও বোঝাপড়ার কথা বলা আছে।
এই সমপ্রীতি পলাশীর ব্রিটিশদের পর আস্তে আস্তে বদলাতে থাকে। সামপ্রদায়িকতার জনক কোন হিন্দু নয় কোন মুসলিম নয়, ১৯০৯ সালে বাংলার গভর্নর লর্ড মিন্টো কর্তৃক পৃথক নির্বাচন প্রথা চালুর পর এদেশে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতিকে প্রথম রাজনীতির মোড়কে আবৃত করা হয়। তখন থেকেই রাজনীতিকের মাঝে ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে খেলা শুরু হয়। পৃথক ভোট মানে হিন্দু প্রধান অঞ্চলে হিন্দু প্রার্থী এবং মুসলিম প্রধান প্রার্থীকে প্রদত্ত ভোটের ৬০% পেতে হবে। পুরো উত্তর ভারত বোম্বে প্রেসিডেন্সি বর্তমান পাকিস্তান ও বর্তমান পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশ এক বিরাট বিভাজন শুরু করেছিল রাজনীতিবিদরা যার ফলশ্রুতিতে এই অঞ্চলগুলো এখনো ভুগছে সামপ্রদায়িকতায়, আশ্চর্যজনকভাবে দক্ষিণ ভারতের নিজাম রাজ্য, কোচিন রাজ্য, ট্রেভানকোর, মালাবার রাজ্য, মহীশূর রাজ্য এ নির্বাচন না মেনে নিজেদের নিয়মে প্রতিনিধি নির্বাচন করত যার ফলশ্রুতিতে এখনো তারা ধর্মীয় রাজনীতি থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছে। অবিভক্ত বাংলা সামান্য সময়ের জন্য সামপ্রদায়িকতা থেকে মুক্ত ছিল। অসামপ্রদায়িক নেতা বলে বাংলায় যদি কেউ থেকে থাকে প্রথমে বলতে হয় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের কথা, বাংলার দুর্ভাগ্য যে মাত্র ১৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনের পর তার মৃত্যু হয়। তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যার পক্ষে বাস্তব সমস্যার আলোকে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে সমপ্রীতি গড়ার রাজনৈতিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তার উদ্যোগকে বলা হয় ১৯২৩ সালের ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’। এই চুক্তির মূল কথা হলো sharing power with majority Muslim দেশবন্ধু সাতটি পয়েন্টে হিন্দু-মুসলিম ঐক্য সরকার দিয়ে বাংলা শাসন করতে চেয়েছিলেন। স্থানীয় পৌরসভাগুলোতে মুসলিম হিন্দু সদস্য ৬০/৪০ প্রস্তাব করেছিলেন এলাকাভেদে। সবচেয়ে সাহসী অনুচ্ছেদ ছিল গো হত্যা সম্বন্ধে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন, এর প্রস্তাব ‘গোহত্যার কোন বিষয়ে সংসদে আলোচনা হবে না। স্থানীয় দুই পক্ষের নেতারা তার সামাজিক ভাবে সমাধান করবে । মুসলমানরা এমনভাবে গরু জবাই করবে যাতে হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের ধর্মবোধের আহত না হয়। ঈদে কোনও হত্যা বন্ধ করা যাবে না, কলকাতার নেতাদের মধ্যে জে এম সেনগুপ্ত, সুভাষ বোস, কিরণ শংকর রায়, প্রতাপ গুহ, ধীরেন্দ্রনাথ শামমন এই প্যাক্ট সমর্থন করেন। বিসিপাল ও সুরেন্দ্র ব্যানার্জী বিরোধিতা করেন।
জ্যোতি বসুকে কেন্দ্রীয় সিপিএমের সর্বভারতীয় প্রধানমন্ত্রী না করা যেমন ্তুঐতিহাসিক ভুল ছিল তেমনি ১৯২৩ সালে নেহেরু গান্ধীদের কেন্দ্রীয় কংগ্রেস বেঙ্গল প্যাক্ট প্রত্যাখ্যান করা ঐতিহাসিক ভুল ছিল। ব্যর্থ মনোরথ চিত্তরঞ্জন ১৯২৯ সালে মাত্র ৫৪ বছর বয়সে মারা গেলে হিন্দু-মুসলমান ঐক্য প্রতিষ্ঠার দুয়ার চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়।
তারপরের রাজনীতি সবার জানা, পাকিস্তান ভারত সেকুলারিজম ও ধর্মতান্ত্রিক। কিন্তু ৪৭ থেকে অদ্যাবধি এই সমস্যা কখনো সুপ্ত, কখনো ফাটাফাটি আকারে চলছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে। ভারতে কংগ্রেস আমলে সামপ্রদায়িকতা একটু রাখ ঢাক করে চলত। কিন্তু সেই ভারত আর নেই। এখন বিজেপির ভারত। এখন রাষ্ট্রীয় মদদে ধর্মীয় বিভাজন হচ্ছে। তার ধাক্কা এসে পড়ে ছোট্ট এই ভূখণ্ডে। এটাই নিয়তির পরিহাস। ১৯৯২ এ বাবরি মসজিদ ধ্বংস, ১৯৯৩ এ মুম্বাই বোমা আক্রমণ, ২০১৯ সালে শ্রীলংকার স্টার আক্রমণ, পাকিস্তানে শিয়া সুন্নি দাঙ্গা, কাবুলে তালেবান বনাম আই এস বোমা-আমরা একটা পরিবর্তিত দক্ষিণ এশিয়া দেখতে পাচ্ছি ।
ধর্মীয় বিভাজন ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন, ভারতে কাউ লিংচিং বা গোমাংস জনিত হামলা ও হত্যা ইত্যাদি ভারতের রাজনীতি ও সমাজে নতুন সংযোজন, যার রেষ এসে পড়ে এদেশে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী দেশের কিছু ব্যাপারে আসলেই নির্লিপ্ত না থেকে ডিপ্লোমেটিক সৌজন্যবোধ সহ নাগরিকত্ব আইনকে unnecessary বা অপ্রয়োজনীয় বলেছেন মাত্র। আমাদের দেশের সামপ্রতিক মন্দির হামলায় সারা ভারত বিক্ষুব্ধ। ২৮,২৯,৩০ তারিখ কর্ণাটক রাজ্যের ধারওয়ার শহরে আরএসএস এর সম্মেলন হচ্ছে, ওখানে বক্তব্য দেবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তাদের আলোচ্যসূচিতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার বিষয়ে। দেরিতে হলেও বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরা মানববন্ধনসভা সমাবেশের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের পাশে থেকে সাহস যোগাচ্ছে। সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিচার সবই চলছে। এগুলো সরকারি বিষয়।
আমাদের আমজনতার করণীয় কি? আমাদেরকে বুঝতে হবে বন্ধু বদলানো যায় যতবার ইচ্ছা কিন্তু মরণের আগ পর্যন্ত প্রতিবেশী বদলানো যায় না। প্রতিবেশীকে না জানা, না বোঝাটা আইন দিয়ে হয়না। এটা সামাজিক প্রক্রিয়া। দুর্ভাগ্যক্রমে বলতে হয় উভয় ধর্মের ওৎ পেতে বসে থাকা Trouble maker (হাঙ্গামা সৃষ্টিকারী) রাজনৈতিক ও সামাজিক, কখনো আর্থিক সুবিধা ভোগকারীরাই বর্তমান সাম্প্রদায়িকতার হোতা। যদিও অধিকাংশ মানুষ এখনও সামাজিক সমপ্রীতি বজায় রাখে।
একজন বা কতিপয় দুর্বৃত্ত এর জন্য পুরো সমপ্রদায়কে দোষারোপ করাটা অনৈতিক ও সঙ্গত নয়। এটাই হচ্ছে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় সমস্যাটা পুরোপুরি রাজনৈতিক। সামাজিকভাবে যেটা আমাদের করণীয় তা হচ্ছে দুই সমপ্রদায়ের মানুষের মাঝে যে পজিটিভ ঘটনাগুলো ঘটে সেগুলোকে মিডিয়ায় হাইলাইট করা। শুধু খারাপ ঘটনাগুলো হাইলাইট করলে মানুষের মাঝে ভয়, সন্দেহ, দূরত্ব বাড়বে। এটা কোন মানববন্ধন, আন্দোলন বক্তৃতা বিবৃতি দিয়েও সুরাহা হবে না। পজিটিভ ঘটনাগুলো দুই সমপ্রদায়ের মধ্যে আশা জাগাবে, প্রতিবেশীদের মানবিক দিকগুলো প্রজন্মের কাছে ভাস্বর হয়ে উঠবে। ঠিক এই কাজটাই ঢাকার কয়েকটা পত্রিকা করছে। একটা পত্রিকায় মুসলিমের জানাজায় হিন্দু ভদ্রলোক নামাজের পিছনে থেকেও বসে কাঁদছে। এই দৃশ্যটা আমাকে আজকের প্রবন্ধ লিখতে উদ্বুদ্ধ করছে। আমার গ্রামে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হিন্দু জনসংখ্যা। আমি সামপ্রদায়িকতা শব্দটার সাথে পরিচিত অত্যন্ত সামপ্রতিক সময়ে। আমার হিন্দু সতীর্থদের ছেলেমেয়েরা শহরে আমাকে মামা, কাকা ডাকে। পায়ে ধরে প্রণাম করে। আমার গ্রামে অনেক হিন্দু ডাক্তার পল্লী চিকিৎসক আছেন। আমি গ্রামে যাই ১৫ দিনে একবার। ৭০ বছরের দুলালবাবু জ্বর নিয়ে ১০ দিন অপেক্ষা করছিল কোন ডাক্তার না দেখাইয়া আমার বাড়িতে দেখানোর জন্য। বৃদ্ধের বক্তব্য আমাকে কান্নাজড়িত করেছিল। কিসের সামপ্রদায়িকতা- কেউই এই বৃদ্ধকে সামপ্রদায়িকতার মোড়ক পরাতে পারবে? ১৯৫৬ সালে আমার বাবার যক্ষ্মা ধরা পড়ে। তখন করাচিতে সদ্য পিজি হাসপাতাল হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য করাচি যাবার মনস্থ করেন। কিন্তু ব্যবসার মন্দাবস্থার কারণে যাত্রা করতে ইতঃস্তত করেন। টেরিবাজার আজমির স্টোরের মালিক সুধাংশ বাবু বাবাকে জিজ্ঞেস করেন তাড়াতাড়ি করাচি যাচ্ছে না কেন? বাবা আর্থিক টানাটানির কথা বলেন। সুধাংশ কাকা জানতে চান কত টাকা লাগবে? এক সপ্তাহ পরে সুধাংশ কাকা বাবার হাতে পুরো টাকা গুঁজে দেন। বাবা জিজ্ঞেস করলেন টাকা কিভাবে জোগাড় করলেন? কাকা জবাব দিলেন। জগদীশের মার সোনা বন্ধক দিয়ে টাকা এনেছি। এটা সামপ্রদায়িকতা না মানবিকতা? ওৎ পেতে বসে থাকাদের এই পজিটিভ গল্প কেমন লাগে?
একদিন এক হিন্দু মহিলা গ্রাম থেকে সন্ধ্যায় একটুপি দাড়িওয়ালা লোককে চিকিৎসার জন্য আনলেন। ওই মহিলা আমার পুরনো রোগী। দিনেই আসে চিকিৎসার জন্য। যাহোক মুসলিম লোকটাকে চিকিৎসা দিয়ে হিন্দু মহিলাকে বললাম আপনি পুরনো রোগী, দিনে না এসে রাতে এসেছেন। যাবেন কি করে? মহিলা বললেন মুসলিম তার প্রতিবেশী, সারাদিন দোকানদারি করে। সময় পায়না তাই সন্ধ্যায় নিয়ে এসেছে। হিন্দু মহিলা বললেন লোকটার মেয়ের শহরে বাসা আছে। ওখানে দুজনেই রাত কাটাবেন। আমি সামপ্রদায়িকতাকে মানবতার সাথে মিলাতে পারলাম না। এটাই শাশ্বত বাংলার ধর্মীয় সম্মিলন। এগুলোই পজিটিভ ধর্মাচার। শিক্ষিত রাজনীতিবিদরা ধুরন্দর লোকগুলোর মাঝেই বিভাজন। সাধারণ আমজনতা এখনও এদেশে স্ব স্ব ধর্মাচার নিয়ে প্রতিবেশীর সাথে জীবনের গল্প শেয়ার করে সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়। আমাদের অতীত ধর্মীয় সহাবস্থান দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের বেঙ্গল প্যাক্ট, হক শ্যামার কলকাতার শাসন এগুলো আজকের দুর্যোগে নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। রাষ্ট্র আইনের শাসন দেখুক, মানুষ সামাজিক সম্প্রীতি প্রাক্টিস করুক- এটাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আসল সংগ্রাম।
লেখক : কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, চিকিৎসক

পূর্ববর্তী নিবন্ধভালো মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে পিতা-মাতার ভূমিকা
পরবর্তী নিবন্ধআ. লীগের এক নেতার দাঁত ভাঙলেন আরেক নেতা