এ বছর আন্তর্জাতিক জাদুগর দিবসের প্রতিপাদ্য হল ‘পাওয়ার অব মিউজিয়াম’। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিশ্ব জাদুঘর দিবসের অনুষ্ঠানের ব্যানার ও র্যালিতে প্রতিপাদ্য হিসেবে লেখা হয়েছে ‘দ্য ফিউচার অব মিউজিয়ামস : রিকভার অ্যান্ড ইমাজিন’। যা ছিল গত বছরের প্রতিপাদ্য।
জাদুঘরের পরিচালক ও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হকের কাছ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ইউনেস্কোর ওয়েবসাইটে এই প্রতিপাদ্যটা ছিল। আজকেই (বুধবার) তারা এটা পরিবর্তন করেছে। আমরা ব্যানার আগেই করে ফেলেছি, যার কারণে বিষয়টা ভুল হয়েছে।
ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হোসেন গণমাধ্যামকে জানান, তারা দুই দিন আগে ব্যানার ও দাওয়াত কার্ড করেছিল। গত পরশুদিন পর্যন্ত ২২ সালের থিমে ছিল ‘দ্য ফিউচার অব মিউজিয়ামস : রিকভার অ্যান্ড ইমাজিন’ লেখা। বুধবারই তারা জেনেছে থিম চেঞ্জ হয়েছে। তাই তাৎক্ষণিক পরিবর্তন করা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
এর আগে বুধবার সকাল ১১টায় বিশ্ব জাদুঘর দিবস–২২ উপলক্ষে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন থেকে চবি জাদুঘর ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে জাদুঘর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলে উপ–উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে। চবি জাদুঘরের পরিচালক ও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ।
আন্তর্জাতিক এ দিবসটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, চবি জাদুঘর হল বাংলাদেশের একমাত্র একাডেমিক জাদুঘর। এটি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। দেশের ইতিহাস–ঐতিহ্য, কৃষ্টি–সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হল জাদুঘর। জাদুঘরের মধ্যেই সংরক্ষিত থাকে একটি জাতির অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য যার মাধ্যমে ভবিষ্যত প্রজন্ম খুঁজে পায় তাদের আত্মপরিচয়।