ভুটানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

অধিনায়ক শামসুন্নাহারের হ্যাটট্রিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

নারীদের অনূর্ধ্ব২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশের ড্র করলেই চলতো। কিন্তু সহজ সমীকরণের ম্যাচে ভুটানকে উড়িয়ে দিয়েই বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে। দলের বড় জয়ের রাতে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। গতকাল মঙ্গলবার কমলাপুরের স্টেডিয়ামে ভুটানকে ৫০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশের মেয়েরা।

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠায় বিদায় নিশ্চিত হয় ভারতের। ৩ ম্যাচের দুটি জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। বাংলাদেশের ৫ গোলে তিনটি করেছেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। দুটি করেছেন আকলিমা খাতুন। রিপা পেনাল্টি মিস না করলে গোলের ব্যবধান আরো বড় হতে পারতো স্বাগতিক মেয়েদের।

গতকাল শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ৭ মিনিটের মধ্যে তিনবার অফসাইডের ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। সেই ফাঁদ ভেঙে ৮ মিনিটে ভুটান গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে বল জালে ঠেলতে পারেননি আকলিমা খাতুন। ১৭ মিনিটে শামসুন্নাহার সুযোগ নষ্ট করেন ভুটানের গোলরক্ষকের গায়ে বল মেরে। সুযোগ নষ্ট করলেও ২২ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম গোলের মূল উৎস শামসুন্নাহারই। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ভুটানের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বঙে থাকা আকলিমার দিকে বল পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাটি কামড়ানো শটে বল জালে পাঠান আকলিমা।

পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। বঙে শামসুন্নাহার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ২৫ মিনিটে স্পট কিক নেন শাহেদা আক্তার রিপা। তার শট বাঁ পাশের বার ঘেষে চলে যায়। তবে আক্ষেপকে বড় হতে দেননি শামসুন্নাহার। ২৯ মিনিটে উন্নতি খাতুনের কর্নার থেকে হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক। ২০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় বঙের ভেতর থেকে শট নেন আকলিমা। তার শট খুঁজে পায়নি জাল। তবে ৫৩ মিনিটে স্বাগতিকদের তৃতীয় গোলের আনন্দে ভাসান অধিনায়ক। মাঝমাঠ থেকে রিপার বাড়ানো বলে নিপুণ দক্ষতায় গায়ে লেগে থাকা ভুটানি ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোল করেন শামসুন্নাহার। সামনে এগিয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক, তাকে এগিয়ে আসতে দেখে আড়াআড়ি শটে বলকে জালে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৬ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নিজেই নষ্ট করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ইতি খাতুনের বাড়ানো বল থেকে ভুটান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেন শামসুন্নাহার।

গতি থাকায় এবার আর জাল খুঁজে পাননি তিনি। এরপর দুই মিনিটের ব্যবধানে ভুটানের জালে দুইবার বল ঠেলেন আকলিমা খাতুন ও শামসুন্নাহার। ৬০ মিনিটে আইরিন খাতুনের পাস ধরে একক দক্ষতায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আকলিমা। পরের মিনিটে প্রায় একইরকম আক্রমণ থেকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন শামসুন্নাহার। দিনের আরেক ম্যাচে ভারতকে ৩১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে নেপাল। ৯ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে নেপালের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভেঙে ফেলা হচ্ছে চশমা খালের পাড়ে হেলে পড়া ভবনটি
পরবর্তী নিবন্ধক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জীবনমান দেখলেন বেলজিয়ামের রানি