ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের জীবনমান দেখলেন বেলজিয়ামের রানি

উখিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডে ম্যারি ক্রিস্টিন উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডে সরাসরি সড়ক পথে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে যান। ক্যাম্পে পৌঁছে প্রথমে কুতুপালং ৩ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের একটি লার্নিং সেন্টারে পরিদর্শন করে তাদের শিক্ষাদান পদ্ধতি দেখেন ও রোহিঙ্গা শিশু ও নারীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি ৪ নম্বর ক্যাম্পে গাছের চারা রোপণ করেন এবং ক্যাম্পে জাতিসংঘের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে আরেকটি উইমেন সেন্টার পরিদর্শনের পর সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালে তাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনের বিষয়টি রানির কাছে তুলে ধরেন। একাধিক লার্নিং সেন্টার, উইমেন মার্কেট পরিদর্শন শেষে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নারীদের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়েও কথা বলেন রানি।

মধ্যাহ্নভোজের পর রানি ক্যাম্পের ভেতরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ট্রিটমেন্ট প্লান্টেশন পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় ক্যাম্প থেকে কঙবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সোয়া ৫টায় বিমানবন্দরে পৌঁছান। সন্ধ্যা ৬টার বিমানে তিনি কঙবাজার ত্যাগ করেন।

এসময় রানি মাথিল্ডের সঙ্গে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসা বেলজিয়ামের কোনো রানির এই সফরে বিশেষ গুরুত্ব পায় মানবিক সহায়তা। তারই অংশ হিসেবে বিশ্বের বৃহত্তম উদ্বাস্তু ক্যাম্প পরিদর্শনে এসেছেন তিনি। যেখানে অবস্থান করছে সাড়ে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা।

এদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ‘অ্যাডভোকেটের’ হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন বেলজিয়ামের রানি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে রানিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সফরকে ঘিরে সরকারের পক্ষ থেকে কঙবাজার শহর থেকে উখিয়ার কুতুপালং পর্যন্ত দীর্ঘ ৩৮ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়।

মঙ্গলবার সকালে রানির সফরের মোটর বহর চলাচলকারী কঙবাজারটেকনাফ সড়কের এ অংশে কোনো যানবাহন চলতে দেয়া হয়নি। সড়কের উভয় পাশের অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভুটানকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬