ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর আশা দেখিয়ে যা হল

টাঙ্গাইলের কিশোরী চট্টগ্রামে উদ্ধার

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৮ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর আশা দেখিয়ে টাঙ্গাইল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ১৩ বছরের এক কিশোরীকে চট্টগ্রামে এনে অসামাজিক কাজে নিয়োজিত করার লক্ষ্যে আটকে রেখে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সাদিয়া আক্তার রুনা (১৯) এবং মো. ফরিদ (২৮)। তাদের মধ্যে রুনা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকায় ওই কিশোরীর প্রতিবেশি। আর ফরিদের বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায়। রুনা ওই কিশোরীকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসে।
গত শনিবার (৬ আগস্ট) নগরীর হালিশহর থানার ছোটপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। ওই বাসা থেকেই কিশোরীকে উদ্ধার করে র‌্যাব।
র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারী ক্যাম্পের কমান্ডার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, প্রতিবেশী হওয়ায় রুনার সঙ্গে ওই কিশোরীর এক ধরনের সখ্য ছিল। গত ৩১ আগস্ট রুনা চট্টগ্রাম থেকে মেয়েটিকে ফোন করে বলেন, আরও দুজন ছাত্রী তার সঙ্গে একই জায়গায় থেকে পড়াশোনা করবে। এরপর ১ আগস্ট ওই কিশোরী ঘাটাইল থেকে পালিয়ে চট্টগ্রামে চলে আসে। এর পর ফরিদ তাকে বাস কাউন্টার থেকে ছোটপুলের বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু ওই বাসায় অন্য ছাত্রী বা আর কাউকে না দেখে কিশোরী প্রশ্ন তুললে ফরিদকে নিজের স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়ে রুনা তাকে শান্ত হতে বলেন।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নূরুল আবছার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া রুনা ও ফরিদ দুইজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। তারা মানব পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। ওই ছাত্রীটিকে কৌশলে চট্টগ্রামে এনে রুনা ভিকটিমকে ফরিদের হাতে তুলে দেয়। এক পর্যায়ে ৩ আগস্ট ফরিদ ভিকটিমকে ধর্ষণেরও চেষ্টা করে। সেই কিশোরী বটি নিয়ে ধাওয়া দিলে, ফরিদ তখন পালিয়ে যায়।
র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এ দিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে ভিকটিমের পিতা ঘাটাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে তিনি জানতে পারেন তার মেয়েকে চট্টগ্রামে আটকে রাখা হয়েছে। ভিকটিমের পিতা চট্টগ্রামে এসে র‌্যাব-৭ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ছোটপুল এলাকার একটি ভাড়াঘর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত রুনা এবং ফরিদকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, সহজ সরল অভাবগ্রস্ত নারী ও শিশুদের কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে চট্টগ্রামে এনে পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় শিশুসহ ৩১ মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধনবী (দ.) পরিবারের ওপর জঘন্য নির্মমতা দেখিয়েছে পাষণ্ড ইয়াজিদ