ভালোবাসার আরেক নাম প্রিয় আজাদী

| শনিবার , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ এনামুল হক

সকালে ঘুম থেকে ওঠে ফজরের নামাজ শেষ করেই নিজের কাজের প্রয়োজনে বেরিয়ে পড়ার আগেই একটু চোখ বুলিয়ে নিতে হয় মোবাইলে। কারণ অনলাইনে প্রিয় আজাদীকে এক ঝলক না দেখলে যেন মনে হয় কোনো প্রিয়জনকে দেখিনি। আর এই আবেগ- উচ্ছ্বাস কেনই বা হবে না। দৈনিক আজাদীতে প্রথম আমার লেখা ‘কবে নাগাদ খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ লেখাটি প্রকাশিত হয় ২০২০ সালে। প্রথম নিজে নাম এবং ছাপা অক্ষরে দেখে কতটা আবেগ আনন্দময় লেগেছিল আমার মনে। সেই মুহূর্তটা লিখে প্রকাশ করতে পারব না। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে নিয়েই প্রতিনিয়ত জাতীয় পত্রিকায় লেখা হয় আমার। যখনই চলার পথে কারও হাতে আজাদীকে দেখি দেখলেই মনে হয় পরম আপন স্বজন সে জন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সংবাদপত্র প্রিয় আজাদী পদার্পণ করছে ৬৩ বছর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ অবধি এ দৈনিকটি ধরে রেখেছে তার জনপ্রিয়তা। আর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তার পাঠকসংখ্যা। আর আজাদী এ আশার আলো নিয়ে প্রতিদিন সকালে হাজির হোক প্রত্যেকের দুয়ারে। আমরা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। আমাদের প্রতিটি দিন হোক স্বপ্নময় আর সেই স্বপ্নের সন্ধান এনে দিক আজাদী। একটি নির্জীব, প্রাণহীন সকালকে প্রাণবন্ত করে তুলতে আজাদীর চেয়ে আর কে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে? আমরা অপেক্ষায় আছি প্রতিটি মানুষের পরিমিত অন্নের, সহজলভ্য বস্ত্রের, নিরাপদ বাসস্থানের, সার্বজনীন শিক্ষার, সঠিক চিকিৎসার আর পরিচ্ছন্ন বিনোদনের। এ শুভ সংবাদগুলো সবার আগে পৌঁছে দিক আজাদী, এ প্রত্যাশা লাখ লাখ পাঠকের। একজন সারথি হিসেবে আজাদীকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায় : ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তক
পরবর্তী নিবন্ধদৈনিক আজাদী চট্টগ্রাম সংবাদপত্রের গৌরবের প্রতীক