ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের মধুর সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

নয়াদিল্লির প্রেসক্লাবে মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ

| বুধবার , ২ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু, যা আমরা কখনো ভুলবো না এবং বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের এই মধুর সম্পর্ক ধরে রাখতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ভারত সফররত তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন। তিনদিনের এই সফরে মন্ত্রী এর আগে কলকাতা প্রেসক্লাব এবং ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। খবর বাসসের।
মন্ত্রী এ দিন প্রথমে প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে তার হাতে উদ্বোধন করা বঙ্গবন্ধু মিডিয়া সেন্টারে যান এবং সেখানে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সভাপতি উমাকান্ত লাখেরা, সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার ও সাবেক সভাপতি গৌতম লাহিড়ীসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ মতবিনিময়ে যোগ দেন।
ড. হাছান এ সময় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা শুধু নিজেদেরই নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করি। তিস্তা নদীর পানিবণ্টনে চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্বের সম্পর্ক কেবল তিস্তার উপর নির্ভর করে না, আরো অনেক ইস্যু আছে। আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে লেখা। তিস্তার সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বাংলাদেশে ধর্মীয় সহাবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকারে বিশ্বাস করে। সংখ্যলঘু বলে বাংলাদেশে কিছু নেই, আমরা সবাই স্বাধীন দেশের নাগরিক। হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের সরকার এবং দল অসাম্প্রদায়িকতা ও সব ধরনের মানুষের সম্প্রীতি ও বন্ধনে বিশ্বাস করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজায় এবার আগের বছরের চেয়ে ৭ হাজার পূজামন্ডপ বেশি হয়েছে। দেশব্যাপী উৎসবমুখর পরিবেশে এবার বাংলাদেশে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সকল বিষয় গণমাধ্যমের মাধ্যমেই দু’দেশের মানুষ জানবে এবং পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।
দেশের গণমাধ্যম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মুক্তমত প্রকাশ ও বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাস করে বলেই গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশের গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন। গণমাধ্যমে মুক্তমত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করছে গণমাধ্যম কর্মীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে যুব সমাজের বিকল্প নেই
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে প্রথম দিনেই আদায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা