চট্টগ্রামে প্রথম দিনেই আদায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা

আয়কর তথ্য সেবা মাস শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চলে আয়কর তথ্য সেবা মাসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গতকাল নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় কর পেলিক্যান মেহজাবিন ভবনের সামনে পায়রা উড়িয়ে আয়কর তথ্য সেবা মাস উদ্বোধন করেন কর আপিল কমিশনার সফিনা জাহান। প্রথম দিনে কর অঞ্চল-১, ২, ৩ এবং ৪-এ রিটার্ন জমা পড়েছে ২ হাজার ১১৩টি। বিপরীতে কর আদায় হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ২৭২ টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এর কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, কর অঞ্চল-২ এর কমিশনার সামিয়া আখতার, কর অঞ্চল-৩ এর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিকদার এবং কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার ছাবিনা ইয়াসমিন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, নভেম্বর মাসব্যাপী এ আয়োজনে চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগের ৪টি জোনের ৮৮টি সার্কেলের আয়কর রিটার্ন গ্রহণ, প্রাপ্তি স্বীকার প্রদান, রিটার্ন ও চালান ফরম সরবরাহসহ আয়কর এবং রিটার্ন সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ দেওয়া হবে। ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন বুথে নতুন করদাতারা প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সাপেক্ষে নতুন ই-টিআইএন নিবন্ধন এবং বর্তমান করদাতারা পুনঃনিবন্ধন নিতে পারবেন। এছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা অনলাইনে আয়কর পরিশোধ করতে পারবেন।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১, ২, ৩ এবং ৪-এর বুথ ঘুরে দেখা গেছে, করদাতারা ফরম পূরণ থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। বুথের কর কর্মকর্তারা রিটার্ন দাখিলে তাদের সহযোগিতা করছেন। অনেকে কর সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। বুথের দায়িত্বরতদের হাসিমুখে সেইসব প্রশ্নের জবাব দিতে দেখা যায়।
রিটার্ন দিতে আসা চাকরিজীবী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৫ বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দিচ্ছি। মেলায় যেভাবে সহায়তা পেতাম, এখানেও একইভাবে সেবা পাচ্ছি।
ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন, দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ট্যাঙ রিটার্ন দিতে এসেছি। ট্যাঙ দেয়া প্রত্যেক সক্ষম ব্যক্তির নাগরিক দায়িত্ব। মেলায় একই ছাদের নিচে কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সেবা পাওয়া যায়। তাই এটা ভালো দিক।
চাকরিজীবী আমেনা বেগম জানান, প্রথমবারের মতো আমি আয়কর রিটার্ন জমা দিতে এসেছি। ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন থেকে সবগুলো প্রক্রিয়া ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আয়কর নিয়ে আমাদের মতো মানুষের মনে এক ধরনের ভয় কাজ করে। এছাড়া মানুষের মুখে নানা ভোগান্তির কথা শুনতাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের মধুর সম্পর্কের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা