ব্যবসায় অংশীদারি প্রদানের আশ্বাসে ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ

প্রতারক গ্রেপ্তার

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বৈধ অংশীদারিত্ব প্রদানের আশ্বাস দিয়ে ৮৫ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামি হলেন মৃত নুর মোহাম্মদ সওদাগরের পুত্র নাছিম আহম্মদ খোকন (৫৫)। তিনি নিজেকে ড্রিম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাকলিয়া থানাধীন ইসহাকের পুল সংলগ্ন নুর মোহাম্মদ সওদাগরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার নাছিম আহম্মদ খোকন পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে পার্বত্য খাগড়াছড়ির মহাজনপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে বিগত ৭ আগস্ট ২০২১ তারিখ হতে পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে ৮ কিস্তিতে ৮৫ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেন। এর বিপরীতে ওইদিন নাছিম আহম্মদ ও তার অপর দুই সহযোগী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (৪৯), পরিচালক ড্রিম করপোরেশন ৯ম পৃষ্ঠার ১ম কলাম
এবং মো. ইউনুচ, পরিচালক ড্রিম করপোরেশন, সেলিম ট্রেড সেন্টার, আদালত সড়ক, খাগড়াছড়ির প্যাডে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন। এতে উল্লেখ করা হয় যে, চলতি বছরের ৭ আগস্ট অথবা এর পরেরদিন চুক্তিপত্র দাতাগণ চুক্তিপত্র গ্রহিতাকে তাদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ড্রিম করপোরেশনের ২৫ শতাংশ শেয়ার প্রদান করবেন এবং এই সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র হস্তান্তর করবেন। কোনো কারণে অংশীদারিত্বের কাগজপত্র দিতে অপারগ হলে পরে লভ্যাংশসহ মোট এক কোটি টাকা চুক্তিপত্র গ্রহিতাকে নগদে বা পে-অর্ডারে পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন চুক্তিপত্র দাতাগণ।
দীর্ঘদিন ধরে কথাবার্তা ও আচার-ব্যবহারে বিশ্বাস জমিয়ে গ্রেপ্তার প্রতারক নাছিম আহম্মদ ও তার সহযোগীরা মামলার বাদীর কাছ থেকে ৮৫ লাখ টাকা নগদ গ্রহণের পর তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে মামলার বাদী প্রতারকদের প্রতিষ্ঠান ড্রিম কর্পোরেশনে অংশীদারিত্বের কাগজ চাইতে গেলে তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে একসপ্তাহ সময় নেন। ব্যবসায়িক মন্দা চলছে বলে অজুহাত দিয়ে ওই এক সপ্তাহের মধ্যে অংশীদারিত্বের কাগজপত্র দিতে না পারলে লভ্যাংশসহ টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন নাছিম আহম্মদের দুই সহযোগী। কিন্তু একসপ্তাহ পর মামলার বাদী ও পাওনাদার রফিকুল ইসলাম গত ১৪ আগস্ট ড্রিম কর্পোরেশনের খাগড়াছড়ি অফিসে গেলে মামলার এক নম্বর আসামি ও প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাছিম আহম্মদ খোকন মামলার বাদী রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এরকম টাকা ও ব্যবসার অংশীদার দাবি করলে তাকে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেন এবং উল্টো মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন। এ অবস্থায় পাওনাদার রফিকুল ইসলাম গত ১৬ আগস্ট খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে ৪০৬/৪২০/৩৮৬/৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের ১৪ তারিখে মামলার এক নম্বর আসামি নাছিম আহম্মদ খোকনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে আসামিকে নগরীর ইসহাকের পুল এলাকার নিজবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বাকলিয়া থানা পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাতের আঁধারে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধটোকেন মূল্যে খাস জমি চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ