বিসমিল্লাহ্‌ খান শাস্ত্রীয় সংগীতের অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব

| বুধবার , ২২ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

বিসমিল্লাহ্‌ খান, উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের অবিস্মরণীয় এক ব্যক্তিত্ব। যিনি সানাইকে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বাদনের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করে ভারতের উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে ওস্তাদ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে তিনি তৃতীয় যিনি ভারতরত্ন পদক পেয়েছেন। তিনি পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রীর মতো ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকেও সম্মানিত হয়েছেন। এছাড়াও অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছে ওস্তাদ বিসমিল্লাহ্‌ খান। গতকাল মঙ্গলবার ছিল তার জন্মদিন। ১৯১৬ সালের ভারতের বিহারের বক্সারে জন্ম গ্রহণ করেন বিসমিল্লাহ্‌ খান। তার পূর্বপুরুষরা বিহারের ডুমরাও রাজ্যের রাজ সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন। ওস্তাদ বিসমিল্লাহ্‌ খানের সঙ্গীত গুরু ছিলেন প্রয়াত আলী বকস্‌ বিলায়াতু। খবর বাংলানিউজের।

যিনি বারাণসীর বিশ্বনাথ মন্দিরের সানাই বাদক ছিলেন। ভারতের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে সানাইকে যন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার কৃতিত্ব ওস্তাদ বিসমিল্লাহ্‌ খানের। ১৯৩৭ সালে কলকাতায় অল ইন্ডিয়া মিউজিক কনফারেন্সে সানাই বাজিয়ে একে ভারতীয় সঙ্গীতের মূল মঞ্চে নিয়ে আসেন তিনি। ১৯৫০ সালের দিল্লীর লাল কেল্লায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসে বিসমিল্লাহ্‌ খানের পরিবেশনা মুগ্ধ করেছিল ভারতবর্ষকে। শুধু ভারত নয় আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, কানাডা, পশ্চিম আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, জাপান, হংকংসহ ইউরোপের দেশগুলোতেও ওস্তাদ বিসমিল্লাহ্‌ খান তার সঙ্গীত প্রভা ছড়িয়েছেন। এতো সুনাম অর্জন কার সত্ত্বেও অত্যন্ত সাধারণ জীবনযাপন করতেন ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগফুর হালিকে উৎসর্গ ঐশীর ‘দুই কূলে সুলতান’
পরবর্তী নিবন্ধঅভিনেতা খালেকুজ্জামান আর নেই