বিশ্ব মানবাধিকার দিবস : কর্মীদের সুরক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের

মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন | শুক্রবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ

মানবধর্ম এবং মানবতাবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে ঘোষিত হয় সার্বজনীন মানবাধিকার দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে। চলতি বছর সমস্ত মানুষ স্বাধীনভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং মর্যাদা ও অধিকারে সমান প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৭৩ তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে মানবতা ও মানবাধিকার যেন এক মহামারীতে আক্রান্ত, দেশে দেশে চলছে গণহত্যা আর জাতিগত নিধনযজ্ঞ। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, ইথিওপিয়ায় বিদ্রোহ, চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর অমানবিক নির্যাতন, ভারতের কাশ্মীর, মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিনসহ, একদশকের বেশি সময় ধরে মানবাধিকার লঙ্ঘন যা পরবর্তী প্রজন্মের নিরাপত্তার হুমকি স্বরূপ। পাশাপাশি বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। দেশে মানবাধিকার কর্মীর নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করা; মানবাধিকারকর্মী ঘোষণার আওতাধীন কোনো অধিকার আইনসঙ্গতভাবে অনুশীলন করার ফলে তার বিরুদ্ধে সহিংসতা, হুমকি, প্রতিশোধ, জবরদস্তিমূলক বৈষম্য, চাপ অথবা অন্য কোনো স্বেচ্ছাচারী ব্যবস্থা গ্রহণের হাত থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি দেশের নাগরিকের সর্বোচ্চ মানবাধিকার নিশ্চিত করা একটি রাষ্ট্রের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক চুক্তিসমূহের পক্ষভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে তা বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতার কারণে মানবাধিকারকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা-১৯৯৮ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সরকারের উচিত আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে সম্মান দেখিয়ে প্রয়োজনে জাতিসংঘ মানবাধিকারকর্মী ঘোষণা-১৯৯৮ আলোকে মানবাধিকারকর্মী (অধিকার ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের মাধ্যমে মানবাধিকারকর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। ৭৩তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে দেশে কর্মী ও সেচ্ছাসেবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক সেই প্রত্যাশা করি। লেখক: মানবাধিকার কর্মী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমশার প্রকোপ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধমানুষ মানবিক হলেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব